নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে এবং ঘরে বসে আবেদন করতে এই ব্লগটি সম্পূর্ণ পড়ুন।
সদ্যোজাত কোনো শিশুর জাতীয় পরিচয়পত্র হিসেবে সর্বপ্রথম তার জন্ম নিবন্ধন সনদটিই বিবেচিত হয়। যতদিন তার বয়স ১৮ বছর হয় না কিংবা ভোটার আইডি কার্ড পায় না ততদিন জন্ম নিবন্ধন সনদই সব জায়গায় তার পরিচয়পত্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
আগে ইন্টারনেটের বহুল অ্যাক্সেস না থাকার কারণে আমাদের সবাইকে জন্ম নিবন্ধন করতে ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা কিংবা সিটি করপোরেশনে যেতে হতো। তবে এখন ঘরে বসেই অনলাইনে নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন ফরম পূরণ করা যায়।
নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন |
স্কুল, কলেজে ভর্তি থেকে শুরু করে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সেবা পেতে জন্ম নিবন্ধন সনদ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশে বহাল জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন অনুযায়ী ৪৫ দিনের মধ্যে শিশুর জন্ম নিবন্ধন সনদ তৈরি করা বাধ্যতামূলক।
তবে নানান সমস্যা, অসুবিধার কারণে আমাদের অনেকেই উক্ত সময়ের মধ্যে Berth Certificate তৈরি করতে পারি না। আমার ধারণা এই আর্টিকেলটি যারা পড়ছেন তাদের মধ্যে অনেকেই নিজের জন্য আবেদন করবেন। তাই পুরো আর্টিকেলটি ভালোভাবে পড়ুন।
এখানে নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করতে কি কি লাগে? জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন ফরম পূরণের নিয়ম ও আবেদন ফি কত টাকা সে সম্পর্কে জানাবো।
নতুন জন্ম নিবন্ধন করতে কি কি লাগে?
আপনি যদি অনলাইনে কিংবা ইউনিয়ন ও পৌরসভায় গিয়ে নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করতে চান তাহলে আপনার কিছু কাগজপত্রের প্রয়োজন হবে।
অনলাইনে আবেদন করলে সেসব ডকুমেন্টস স্ক্যান করে কিংবা মোবাইল দিয়ে ছবি তুলে আবেদনের সময় নির্দিষ্ট স্থানে আপলোড দিতে হবে। এছাড়া পরবর্তীতে যখন ইউনিয়ন কিংবা পৌরসভায় জন্ম সনদ আনতে যাবেন তখন সেইসব ডকুমেন্টস লাগবে।
জন্ম নিবন্ধন করতে কি কি কাগজপত্র লাগে তার একটা তালিকা নিচে দেওয়া হলো।
৪৫ দিনের কম বয়সী শিশুর জন্য
- ইপিআই টিকা কার্ড অথবা হাসপাতালের চিকিৎসকের ছাড়পত্র
- বাড়ির হোল্ডিং নম্বর অথবা জমির খাজনা ও কর পরিশোধের রশিদ
- পিতা-মাতার ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন সনদ এবং মোবাইল নম্বর
৪৬ দিন থেকে ৫ বছর বয়সী শিশুর জন্য
- ইপিআই টিকা কার্ড অথবা হাসপাতালের স্বাস্থকর্মীর ছাড়পত্র
- বাড়ির হোল্ডিং নম্বর অথবা জমির খাজনা ও কর পরিশোধের রশিদ
- নিবন্ধনাধীন শিশুর সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের ১ কপি রঙিন ছবি
- বাবা-মায়ের ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন সনদ এবং মোবাইল নাম্বার
৫ বছরের বেশি বয়সী শিশু অথবা ব্যক্তির জন্য
- পিএসসি, জেএসসি, এসএসসি কিংবা যেকোনো পাবলিক পরীক্ষার সার্টিফিকেট
- পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন সনদ
- বয়সের প্রমাণ হিসেবে এমবিবিএস অথবা তদুর্ধ্ব কোনো চিকিৎসকের প্রত্যায়নপত্র
- পিতা-মাতা অথবা নিজের মোবাইল নম্বর
- জমি খাজনা ও কর পরিশোধের রশিদ কিংবা বাড়ির হোল্ডিং নাম্বার
উপরে উল্লিখিত ডকুমেন্টগুলো আগে সংগ্রহ করুন। এরপর জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করতে পারেন। তবে মনে রাখবেন অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন করতে হলে বাবা-মায়ের জন্ম নিবন্ধন সনদ অবশ্যই অনলাইনে অন্তর্ভুক্ত থাকতে হবে।
নতুন জন্ম নিবন্ধনের আবেদন ফরম
পূর্বে যখন ইউনিয়ন পরিষদ কিংবা পৌরসভা অফিসে গিয়ে আমাদের নতুন জন্ম নিবন্ধন সনদের জন্য আবেদন করতে হতো তখন কয়েক পাতার একটা ফরম হাতে লিখে পূরণ করতে হতো।
তবে এখন সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি অনলাইন ভিত্তিক হওয়ায় আর হাতে লিখে ফরম পূরণ করে জমা দিতে হয় না। আপনি নিচে উল্লিখিত নিয়মে আবেদন করলে কয়েক ধাপের নতুন জন্ম নিবন্ধনের আবেদন ফরম দেখতে পাবেন।
নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করার নিয়ম
নিচের অংশে আমরা ধাপে ধাপে দেখবো কিভাবে ঘরে বসেই অনলাইনে নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করা যায়। এটি আপনার হাতে থাকা মোবাইল ফোন দিয়েই করতে পারবেন।
জন্ম সনদ ও জাতীয় পরিচয়পত্র এই ধরনের ডকুমেন্টস খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এগুলো কোনো ভুল হলে তা সংশোধন করতে আমাদের যে পরিমাণ হয়রানির শিকার হতে হয়। এজন্য সবকিছু ভালোভাবে বুঝে তবেই আবেদন করবেন।
জন্ম নিবন্ধন আবেদন করতে নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন। প্রয়োজনে একাধিকবার পড়ে নিন। তবে ভুল-ত্রুটি করা থেকে বিরত থাকুন।
ধাপ-১: নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করতে হলে সরকারি অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে (bdris.gov.bd/br/application) প্রবেশ করতে হবে।
উক্ত ওয়েব পেইজে গেলেই জন্ম নিবন্ধন অফিসের ঠিকানা নির্বাচন করার অপশন পাবেন। এটি নির্বাচন করার মাধ্যমেই মূলত আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হবে।
নিবন্ধনাধীন জন্মস্থান ও স্থায়ী ঠিকানা আলাদা হলে সুবিধামতো যেকোনো একটি নির্বাচন করে ডানপাশের “পরবর্তী” লেখা বাটনে ক্লিক করুন।
ধাপ-২: এরপরের ওয়েব পেইজে যে ফরম দেখতে পাবেন সেখানে নিবিন্ধনাধীন শিশু বা ব্যক্তির পরিচিতি ও জন্মস্থানের ঠিকানার তথ্য দিতে হবে।
নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন |
ব্যক্তির পরিচিতি ফরমের অধীনে বাংলায় নামের প্রথম অংশ ও দ্বিতীয় অংশ, ইংরেজিতে নামের প্রথম অংশ ও দ্বিতীয় অংশ লিখতে হবে।
এখানে অনেকেই একটা সমস্যায় পড়েন। দেখা যায় যে কারো নামে তিনটি বা এর চেয়ে বেশি অংশ থাকে আবার কারো নামে শুধু একটি অংশ থাকে।
আপনার নামের অংশ যদি একটি হয় অর্থাৎ শুধু একটি শব্দ থাকে তাহলে নামের প্রথম অংশের ঘর ফাঁকা রেখে শুধু দ্বিতীয় অংশে একটি শব্দ লিখবেন। বাংলা ও ইংরেজি উভয় ঘরে একই নিয়মে লিখবেন।
আর আপনার নাম যদি দুইটির বেশ শব্দ নিয়ে গঠিত হয় তাহলে নামের প্রথম অংশে দুইটি শব্দ এবং দ্বিতীয় অংশের ঘরে বাকি শব্দগুলো লিখে দিবেন। ইংরেজিতে একই নিয়মে লিখবেন।
এরপরের অংশে নিবন্ধনাধীন ব্যক্তির জন্মস্থানের ঠিকানা সম্পর্কিত তথ্য দিতে হবে। এখানে যেসকল লেখার পাশে লাল স্টার মার্ক থাকবে সেগুলো পূরণ করা আবশ্যক। বাকিগুলো চাইলে পূরণ করতে পারেন, আবার ফাঁকা রাখতে পারেন।
সবকিছু ইনপুট দেওয়া হয়ে গেলে ডান পাশের “পরবর্তী” বাটনে ক্লিক করতে হবে।
ধাপ-৩: এবার নিবন্ধনাধীন ব্যক্তি বা শিশুর পিতা-মাতার তথ্য পূরণ করতে হবে।
এখানে প্রথমেই পিতার জন্ম নিবন্ধন নাম্বার ইনপুট করতে হবে। যদি পিতা-মাতার জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করা থাকে তাহলে জন্ম নিবন্ধন নাম্বার লিখলেই পরবর্তী ঘরগুলোতে নাম ও জাতীয় পরিচয়পত্র নাম্বার অটোমেটিক ইনপুট হয়ে যাবে এবং তা আর এডিট করা যাবে না।
নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন ফরম |
তবে যাদের জন্ম সাল ২০০০ এর পূর্বে তারা চাইলে নিজে নিজে জন্ম নিবন্ধন নাম্বার ও নাম লিখে ইনপুট করতে পারবে।
এরপর পিতা-মাতার জাতীয়তা নির্বাচন করে ডানপাশের “পরবর্তী” লেখা বাটনে ক্লিক করতে হবে।
ধাপ-৪: এই পর্যায়ে নিবন্ধনাধীন ব্যক্তির বর্তমান ঠিকানা ও স্থায়ী ঠিকানা পূরণ করতে হবে। এজন্য ২টি “কোনোটিই নয়” লেখার অপশন দেখতে পাবেন। দুটোতেই টিক মার্ক দিয়ে দিবেন।
নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন |
এবার প্রথমে স্থায়ী ঠিকানা লিখতে হবে। উপরের ছবির মতো একটা ফরম দেখতে পাবেন। সেটা পূরণ করুন। আপনার স্থায়ী ঠিকানা ও জন্মস্থানের ঠিকানা যদি একই হয় তাহলে “জন্মস্থানের ঠিকানা ও স্থায়ী ঠিকানা একই” এই বক্সে টিক মার্ক দিন। আর দুইটা ঠিকানা আলাদা হলে বক্সটি ফাঁকা রাখুন।
একইভাবে বর্তমান ঠিকানার ঘরগুলো পূরণ করুন। আর যদি বর্তমান ঠিকানা ও স্থায়ী ঠিকানা এক হয় তাহলে “বর্তমান ঠিকানা ও স্থায়ী ঠিকানা একই” এই বক্সে টিক মার্ক দিন। অন্যথায় ফাঁকা রেখে “পরবর্তী” লেখা বাটনে ক্লিক করুন।
আরও পড়ুন: নাগরিক সনদ অনলাইনে ডাউনলোড
ধাপ-৫: এবার জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন ফরমে আবেদনকারী ব্যক্তির পরিচিতি প্রদান করতে হবে।
অনেক সময় দেখা যায় ১৫-১৬ বছরের বেশি বয়সী কেউ নিজের জন্ম নিবন্ধন আবেদন নিজেই করে। আবার যেসকল শিশুর জন্ম নিবন্ধন আবেদন করা হয় সেগুলো সাধারণত শিশুর বাবা-মা অথবা পরিবারের অন্যকেউ করে।
এই অংশে আপনি যদি নিজের জন্য আবেদন করেন তাহলে নিজ সিলেক্ট করবেন। যদি নিজের সন্তানের জন্য আবেদন করেন তাহলে পিতা অথবা মাতা সিলেক্ট করবেন। আর যদি নিবন্ধনাধীন ব্যক্তির সাথে আপনার অন্য কোনো সম্পর্ক হয় তাহলে সেটা সিলেক্ট করে প্রয়োজনীয় তথ্য দিন।
জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন ফরম |
এইবার নিচের দিকে দেখবেন সংযুক্তি নামে একটা অপশন আছে। এখানে ক্লিক করে আপনার প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের ছবি বা পিডিএফ আপলোড করতে হবে। এজন্য আগে থেকে কাগজপত্র স্ক্যান করে রাখবেন।
সকল ডকুমেন্টস আপলোড করা হয়ে গেলে ডানপাশে থাকা “পরবর্তী” বাটনে ক্লিক করুন।
আরও পড়ুন: নতুন ই-পাসপোর্ট করার নিয়ম
ধাপ-৬: আপনি এতক্ষণে যত তথ্য প্রদান করেন এই পর্যায়ে সেসকল তথ্যের একটা প্রিভিউ দেখতে পাবেন। সকল তথ্য সঠিক আছে কিনা যা একবার পর্যালোচনা করে দেখে নিন।
এরপর নিচের দিকে মোবাইল নাম্বার দেওয়ার একটা ঘর দেখতে পাবেন। সেখানে মোবাইল নাম্বার লিখে পাশে থাকা “ওটিপি পাঠান” বাটনে ক্লিক করুন।
নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন |
মোবাইলে ওটিপি আসলে সেটা বক্সে লিখে সাবমিট বাটনে ক্লিক করলেই আপনার জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদনটি জমা হয়ে যাবে। আর পরবর্তীতে আপনি কোনো তথ্য পরিবর্তন করতে পারবেন না। সেজন্য সকল তথ্য সঠিকভাবে দিবেন।
ধাপ-৭: সফলভাবে আবেদন জমা দেওয়া হয়ে গেলে নিচের ছবির মতো একটা ওয়েব পেইজ দেখতে পাবেন। সেখানে Application ID লেখা থাকবে। এটি কোথাও লিখে রাখবেন, পরবর্তীতে প্রয়োজন হবে।
নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন |
এছাড়া লেখা থাকবে যে কত দিনের মধ্যে জন্ম নিবন্ধন সনদ পাবেন। উল্লিখিত তারিখের মধ্যে অবশ্যই ইউনিয়ন অথবা পৌরসভায় যোগাযোগ করতে হবে। সাথে অ্যাপ্লিকেশন আইডি ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে যেতে হবে।
আর নিচের দিকে “আবেদনপত্র প্রিন্ট” নামে একটা বাটন থাকবে। এখানে ক্লিক করে আবেদনপত্রটি মোবাইল বা কম্পিউটারে সেভ করে তা প্রিন্ট করতে পারবেন।
এভাবেই আপনি ঘরে বসে অনলাইনে জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করতে পারেন সহজেই। আশা করছি পুরোটা বুঝতে পেরেছেন।
জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন ফি কত টাকা?
অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন আবেদন করতে গেলে আমাদের মাথায় এই প্রশ্নটা প্রায়শই আসে যে নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন ফি কত।
এই ফি এর পরিমাণ দুই রকম। আপনি যদি সন্তানের জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে আবেদন করেন তাহলে কোনো ফি প্রদান করতে হবে না।
৪৫ দিনের পর কিন্তু ৫ বছরের আগে আবেদন করলে ২৫ টাকা জন্ম নিবন্ধন ফি প্রদান করতে হবে। আর যদি ৫ বছরের পরে আবেদন করেন তাহলে এই ফি ৫০ টাকা।
জন্ম নিবন্ধন আবেদনের বর্তমান অবস্থা যাচাই
নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করার পরে আমরা কয়েকদিন অপেক্ষা করি সনদটি পেতে। এর মধ্যেই অনেকেই জানতে চায় তার আবেদনটি এখন কি অবস্থায় আছে।
এটি আপনি সহজেই জানতে পারেন। জন্ম নিবন্ধন আবেদনের বর্তমান অবস্থা যাচাই করতে অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে চলে যান।
জন্ম নিবন্ধন আবেদনের বর্তমান অবস্থা যাচাই |
এরপরে সেখানে উপরের ছবির মতো ওয়েবপেজ দেখতে পাবেন। জন্ম নিবন্ধন আবেদনের বর্তমান অবস্থা যাচাই করতে নিবন্ধাধীন ব্যক্তির জন্ম তারিখ ও অ্যাপ্লিকেশন আইডি লাগবে।
এবার অ্যাপ্লিকেশন আইডি ও জন্ম তারিখ ইনপুট দিয়ে দেখুন বাটনে ক্লিক করুন। তাহলে দেখতে পারবেন যে আপনার জন্ম নিবন্ধন আবেদনপত্রটি কোন অবস্থায় আছে।
ইতিকথা
আশা করছি যে আজকের আর্টিকেলে অনলাইনে নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করতে হয় কিভাবে সে সম্পর্কে জানাতে পেরেছি।
এছাড়াও এ বিষয়ে কোনো জিজ্ঞাসা বা কনফিউশান থাকলে তা কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না।