১. জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির নতুন খবর (২০২৪-২৫): এক নজরে
ভাবছেন তো, কলেজে ভর্তি হবেন? তাহলে আপনার জন্য একটা জরুরি খবর আছে! জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় (National University) আবার ভর্তি পরীক্ষা নিচ্ছে। এতদিন শুধু আপনার রেজাল্ট (GPA) দেখেই ভর্তি হওয়া যেত, কিন্তু এখন নিয়ম বদলেছে। তাই, যদি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্ন থাকে, তাহলে এই নতুন নিয়মগুলো ভালো করে জেনে নিন।
১.১ ভর্তি পরীক্ষার ঘোষণা: ৩ মে থেকে শুরু
এবছর যারা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে চান, তাদের জন্য পরীক্ষা শুরু হচ্ছে ৩ মে থেকে। এটা কিন্তু একটা বিশাল পরিবর্তন। আগে শুধু আপনার পরীক্ষার ফল (result) মানে GPA দেখেই আপনি ভর্তি হতে পারতেন। কিন্তু এখন, আপনাকে একটা ভর্তি পরীক্ষাও দিতে হবে। তাই, যারা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার কথা ভাবছেন, তারা তারিখটা মনে রাখুন – ৩ মে। আর দেরি না করে, এখন থেকেই পরীক্ষার প্রস্তুতি শুরু করে দিন। কারণ, কম্পিটিশন (competition) কিন্তু বেশ ভালোই হবে!
১.২ কেন এই পরিবর্তন? পরীক্ষা কি সবার জন্য বাধ্যতামূলক?
আচ্ছা, প্রশ্ন জাগতে পারে যে কেন এই নিয়ম বদলানো হল, তাই না? আগে GPA-এর ভিত্তিতে ভর্তি হওয়ার সময় দেখা যেত, অনেক ভালো ছাত্রছাত্রীও সুযোগ পেত না, কারণ তাদের GPA হয়তো একটু কম ছিল। আবার, অনেকে ভালো কলেজে পড়ার সুযোগ পেয়েও নানা কারণে সেখানে ভর্তি হতে পারত না। তাই, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মনে করেছে যে একটা পরীক্ষার মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের মেধা যাচাই করে ভর্তি করলে, যোগ্য প্রার্থীরাই সুযোগ পাবে।
এখন প্রশ্ন হল, এই পরীক্ষা কি সবার জন্য? হ্যাঁ, এই পরীক্ষা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা সব কলেজেই ভর্তি হওয়ার জন্য প্রযোজ্য। আপনি যে বিভাগেই (subject) ভর্তি হতে চান না কেন, আপনাকে এই পরীক্ষা দিতেই হবে। তাই, বিজ্ঞান (Science), কলা (Arts) কিংবা বাণিজ্য (Commerce) – যে শাখারই ছাত্র হন না কেন, পরীক্ষার জন্য তৈরি থাকুন।
এই পরিবর্তনের ফলে ছাত্রছাত্রীদের উপর কেমন প্রভাব পড়বে? অনেকে হয়তো ভাবছেন পরীক্ষা দেওয়াটা একটা বাড়তি ঝামেলা। কিন্তু একটু ভালো করে দেখলে বুঝবেন, এটা আপনার জন্য একটা সুযোগ। GPA-তে কম নম্বর থাকলেও, আপনি যদি পরীক্ষায় ভালো করেন, তাহলে আপনার পছন্দের কলেজে পড়ার সুযোগ পেতে পারেন। তাই, হতাশ না হয়ে, এখন থেকেই ভালোভাবে প্রস্তুতি নিন।
২. ভর্তি পরীক্ষার খুঁটিনাটি: কিভাবে প্রস্তুতি নেবেন?
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা মানেই একটু কঠিন প্রস্তুতি। কারণ, সারা দেশ থেকে হাজার হাজার ছাত্রছাত্রী এই পরীক্ষায় অংশ নেয়। তাই, ভালো ফল করতে হলে আপনাকে এখন থেকেই একটা প্ল্যান (plan) করে পড়াশোনা শুরু করতে হবে। কিভাবে শুরু করবেন, কোন বিষয়ে বেশি মনোযোগ দেবেন, সেই সব নিয়েই এখন আলোচনা করা যাক।
২.১ পরীক্ষার মানবন্টন: কোন বিষয়ে কত নম্বর?
ভর্তি পরীক্ষার মানবন্টন (marks distribution) সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখাটা খুবই জরুরি। কারণ, এটা জানলে আপনি বুঝতে পারবেন কোন বিষয়ে আপনাকে বেশি জোর দিতে হবে। সাধারণত, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় বাংলা, ইংরেজি, সাধারণ জ্ঞান এবং আপনার বিভাগ (subject)-এর উপর প্রশ্ন থাকে।
- বাংলা: বাংলায় ব্যাকরণ, সাহিত্য এবং সহজ রচনা লেখার উপর প্রশ্ন আসতে পারে।
- ইংরেজি: ইংরেজিতে সাধারণত গ্রামার (grammar), ভোকাবুলারি (vocabulary), এবং কম্প্রিহেনশন (comprehension) থেকে প্রশ্ন আসে।
- সাধারণ জ্ঞান: সাধারণ জ্ঞানে বাংলাদেশ এবং আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী, সাম্প্রতিক ঘটনা, ইতিহাস, ভূগোল, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ইত্যাদি থেকে প্রশ্ন করা হয়।
- বিভাগীয় বিষয়: আপনি যে বিভাগে ভর্তি হতে চান, সেই বিভাগের মূল বিষয়গুলো থেকে প্রশ্ন আসবে। যেমন, বিজ্ঞান বিভাগের জন্য পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, জীববিজ্ঞান, গণিত ইত্যাদি।
কোন বিভাগে কত নম্বর থাকবে, সেটা সাধারণত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পরীক্ষার আগে জানিয়ে দেয়। তাই, বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট এবং ভর্তি বিজ্ঞপ্তির দিকে নজর রাখুন।
আগের বছরের প্রশ্নপত্র (question paper) দেখলে আপনি প্রশ্নের ধরণ সম্পর্কে একটা ধারণা পাবেন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট বা লাইব্রেরিতে পুরনো প্রশ্নপত্র পাওয়া যায়।
২.২ কিভাবে প্রস্তুতি শুরু করবেন: কিছু টিপস এবং ট্রিকস
সময় কিন্তু খুব বেশি নেই। তাই, এখন থেকেই গুছিয়ে পড়া শুরু করা দরকার। এখানে কিছু টিপস (tips) দেওয়া হল, যা আপনাকে প্রস্তুতি নিতে সাহায্য করবে:
- সময় ভাগ করে নিন: প্রথমে একটা রুটিন (routine) তৈরি করুন। কোন বিষয়ে কত সময় দেবেন, সেটা ঠিক করে নিন। কঠিন বিষয়গুলোর জন্য বেশি সময় রাখুন।
- বেসিক (basic) ভালোভাবে পড়ুন: মূল বইগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। বেসিকগুলো ভালোভাবে না বুঝলে, কঠিন প্রশ্নগুলোর উত্তর দেওয়া মুশকিল হবে।
- নোট (note) তৈরি করুন: পড়ার সময় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নোট করে রাখুন। পরীক্ষার আগে এই নোটগুলো রিভাইস (revise) করলে খুব কাজে দেবে।
- আগের বছরের প্রশ্নপত্র সমাধান করুন: আগের বছরের প্রশ্নপত্র সমাধান করলে প্রশ্নের ধরণ সম্পর্কে ধারণা হবে এবং আত্মবিশ্বাস বাড়বে।
- মডেল টেস্ট (model test) দিন: নিয়মিত মডেল টেস্ট দিলে পরীক্ষার ভয় দূর হবে এবং সময় ব্যবস্থাপনার দক্ষতা বাড়বে।
- গুরুত্বপূর্ণ বই এবং রিসোর্স (resource): বাজারের ভালো মানের গাইড বই এবং সহায়ক বই কিনতে পারেন। এছাড়া, অনলাইনে অনেক রিসোর্স পাওয়া যায়, যেমন বিভিন্ন শিক্ষামূলক ওয়েবসাইট এবং ইউটিউব চ্যানেল।
- গ্রুপ স্টাডি (group study): বন্ধুদের সাথে গ্রুপ করে পড়লে কঠিন বিষয়গুলো সহজে বোঝা যায় এবং আলোচনা করার মাধ্যমে অনেক নতুন জিনিস শেখা যায়।
মনে রাখবেন, নিয়মিত এবং পরিকল্পিত পড়াশোনাই সাফল্যের মূল চাবিকাঠি।
৩. আবেদন প্রক্রিয়া: ভুল করলে সব শেষ!
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার জন্য আবেদন (application) করাটা একটা গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। এখানে সামান্য ভুল হলে আপনার পুরো চেষ্টাটাই মাটি হয়ে যেতে পারে। তাই, খুব সাবধানে এবং মনোযোগ দিয়ে আবেদন করতে হবে।
৩.১ অনলাইনে আবেদন: স্টেপ বাই স্টেপ গাইড
অনলাইনে আবেদন করাটা এখন অনেক সহজ হয়ে গেছে, কিন্তু কিছু জিনিস মনে রাখতে হবে যাতে কোনো ভুল না হয়। নিচে একটা স্টেপ বাই স্টেপ (step by step) গাইড দেওয়া হলো:
- জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে যান: প্রথমে আপনাকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি বিষয়ক ওয়েবসাইটে যেতে হবে। ওয়েবসাইটের ঠিকানাটা ভালো করে দেখে নেবেন, যাতে ভুল ওয়েবসাইটে না যান।
- আবেদনের লিঙ্ক (link) খুঁজুন: ওয়েবসাইটে ঢোকার পর "স্নাতক (সম্মান) ভর্তি কার্যক্রম" অথবা "Undergraduate Admission" লেখা একটা লিঙ্ক (link) খুঁজে বের করুন।
- নির্দেশাবলী পড়ুন: লিঙ্কে ক্লিক করার পর একটা পেজ (page) খুলবে, যেখানে আবেদনের নিয়মাবলী এবং নির্দেশাবলী দেওয়া থাকবে। এগুলো খুব মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
- ফর্ম (form) পূরণ করুন: এরপর আপনাকে অনলাইনে একটা ফর্ম (form) পূরণ করতে হবে। এই ফর্মে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য, শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে হবে।
- ছবি এবং অন্যান্য ডকুমেন্টস (documents) আপলোড (upload) করুন: ফর্ম পূরণের পর আপনার পাসপোর্ট সাইজের ছবি এবং অন্যান্য ডকুমেন্টস যেমন মার্কশিট (marksheet), প্রশংসাপত্র (testimonial) ইত্যাদি স্ক্যান (scan) করে আপলোড করতে হবে।
- ফর্ম সাবমিট (submit) করুন: সব তথ্য দেওয়া হয়ে গেলে এবং ডকুমেন্টস আপলোড করার পর ফর্মটা সাবমিট (submit) করুন।
- আবেদনপত্র ডাউনলোড (download) করুন: ফর্ম সাবমিট করার পর আপনাকে একটা আবেদনপত্র দেওয়া হবে। এটা ডাউনলোড (download) করে প্রিন্ট (print) করে রাখুন।
কি কি ডকুমেন্টস (documents) লাগবে, তা আগে থেকে তৈরি করে রাখুন। সাধারণত যা যা লাগে:
- পাসপোর্ট সাইজের ছবি (Passport size photo)
- এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার মার্কশিট (SSC & HSC Marksheet)
- এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন কার্ড (SSC & HSC Registration Card)
- জন্ম নিবন্ধন সনদ অথবা জাতীয় পরিচয়পত্র (Birth Certificate or National ID Card)
আবেদনের শেষ তারিখ কবে, সেটা মনে রাখা খুব দরকার। সাধারণত, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ওয়েবসাইটে আবেদনের সময়সীমা উল্লেখ করে। সেই তারিখের মধ্যে আপনাকে আবেদন করতে হবে।
৩.২ পেমেন্ট (Payment) এবং অন্যান্য জরুরি তথ্য
আবেদন করার পরে আপনাকে একটা নির্দিষ্ট ফি (fee) জমা দিতে হবে। এটা সাধারণত অনলাইনে ক্রেডিট কার্ড (credit card), ডেবিট কার্ড (debit card) বা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের (mobile banking) মাধ্যমে দেওয়া যায়। আবার অনেক সময় কলেজে গিয়েও জমা দেওয়ার অপশন (option) থাকে।
ভর্তি সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর (helpline number) এবং ইমেইল এড্রেস (email address) ওয়েবসাইটে দেওয়া থাকে। কোনো সমস্যা হলে তাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
যদি কোনো কারণে আপনার আবেদনে ভুল হয়ে যায়, তাহলে দ্রুত হেল্পলাইন নম্বরে যোগাযোগ করুন। তারা আপনাকে সঠিক পথ দেখাতে পারবে।
৪. সাফল্যের গল্প: যারা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে ভালো করছে
অনেকেই মনে করেন যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়লে ভালো কিছু করা যায় না। কিন্তু এটা একদম ভুল ধারণা। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েও অনেকে জীবনে অনেক বড় সাফল্য পেয়েছেন। তাদের গল্প শুনলে আপনিও অনুপ্রাণিত হবেন।
৪.১ কেস স্টাডি (Case Study): কিভাবে সাধারণ ব্যাকগ্রাউন্ড (background) থেকেও ভালো করা যায়
আমরা কয়েকজন সফল শিক্ষার্থীর গল্প শুনবো, যারা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে আজ সমাজে প্রতিষ্ঠিত।
-
ফারহানা আক্তার: ফারহানা একটা ছোট গ্রাম থেকে এসেছে। তার বাবা একজন কৃষক। আর্থিক অভাবের কারণে ভালো কলেজে পড়ার সুযোগ না পেলেও, সে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়। ফারহানা প্রথম থেকেই খুব পরিশ্রমী ছিল। সে নিয়মিত ক্লাস করত এবং শিক্ষকের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনত। লাইব্রেরিতে গিয়ে প্রচুর বই পড়ত। ফারহানা পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডেও যুক্ত ছিল। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় সে বিতর্ক প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে। পড়াশোনা শেষ করে ফারহানা এখন একটা মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে (multinational company) কাজ করছে।
-
রাকিব হাসান: রাকিবের বাবা ছিলেন একজন স্কুল শিক্ষক। রাকিব ছোটবেলা থেকেই খুব মেধাবী ছিল। কিন্তু পারিবারিক সমস্যার কারণে সে ভালো কলেজে ভর্তি হতে পারেনি। রাকিব জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে কম্পিউটার সায়েন্স (computer science) নিয়ে পড়াশোনা শুরু করে। সে প্রোগ্রামিংয়ের (programming) উপর খুব জোর দেয় এবং বিভিন্ন অনলাইন কোর্স (online course) করে নিজের দক্ষতা বাড়ায়। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় রাকিব একটা সফটওয়্যার কোম্পানি (software company) খোলে এবং অল্প সময়ের মধ্যেই সফল হয়। এখন তার কোম্পানিতে অনেক লোক কাজ করে।
ফারহানা এবং রাকিবের গল্প থেকে আমরা শিখতে পারি যে সুযোগের অভাব থাকলেও চেষ্টা করলে জীবনে অনেক দূর যাওয়া যায়।
৪.২ সুযোগ এবং সম্ভাবনা: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে কি কি করা যায়?
অনেকের মনে প্রশ্ন থাকে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার পর চাকরির বাজার কেমন? সত্যি বলতে, এখন চাকরির বাজারটা অনেক প্রতিযোগিতামূলক। তবে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েও ভালো চাকরি পাওয়া সম্ভব।
-
চাকরির বাজার: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করে আপনি সরকারি এবং বেসরকারি দুই ধরনের চাকরিই করতে পারেন। সরকারি চাকরির মধ্যে বিসিএস (BCS), ব্যাংক (bank) চাকরি, শিক্ষকতা ইত্যাদি অন্যতম। বেসরকারি ক্ষেত্রে বিভিন্ন মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি (multinational company), ব্যাংক (bank), বীমা কোম্পানি (insurance company), এনজিও (NGO) এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে কাজের সুযোগ আছে।
-
উচ্চশিক্ষা: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার পর উচ্চশিক্ষার অনেক সুযোগ আছে। আপনি মাস্টার্স (masters) করতে পারেন, এমফিল (MPhil) করতে পারেন, এমনকি পিএইচডিও (PhD) করতে পারেন। এছাড়া, বিদেশে গিয়েও উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগ রয়েছে।
-
ক্যারিয়ার (career) গড়া: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে আপনি নিজের পছন্দ অনুযায়ী ক্যারিয়ার গড়তে পারেন। আপনি যদি শিক্ষক হতে চান, তাহলে শিক্ষকতা করতে পারেন। যদি গবেষক হতে চান, তাহলে গবেষণা করতে পারেন। আবার, যদি উদ্যোক্তা (entrepreneur) হতে চান, তাহলে নিজের ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় আপনি বিভিন্ন স্কিল ডেভেলপমেন্ট (skill development) কোর্স করতে পারেন। যেমন, কম্পিউটার কোর্স (computer course), ভাষা শিক্ষা কোর্স (language course) ইত্যাদি। এগুলো আপনার ক্যারিয়ার গঠনে সহায়ক হবে।
৫. শেষ কথা: আপনার জন্য কি অপেক্ষা করছে?
এতক্ষণ ধরে আমরা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি প্রক্রিয়া, প্রস্তুতি এবং সুযোগ নিয়ে আলোচনা করলাম। আশা করি, এই ব্লগ পোষ্ট (blog post) আপনাকে অনেক সাহায্য করবে।
৫.১ মূল বিষয়গুলোর সারসংক্ষেপ
পুরো ব্লগ পোষ্টের মূল কথাগুলো আরেকবার মনে করিয়ে দিচ্ছি:
- জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে আবার ভর্তি পরীক্ষা শুরু হচ্ছে।
- পরীক্ষার তারিখ ৩ মে।
- আবেদনের জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে যেতে হবে।
- সময় কম, তাই এখন থেকেই প্রস্তুতি শুরু করুন।
- জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েও জীবনে অনেক ভালো কিছু করা সম্ভব।
ভর্তি পরীক্ষা, প্রস্তুতি এবং আবেদনের তারিখগুলো মনে রাখুন এবং সেই অনুযায়ী প্রস্তুতি নিন।
৫.২ এখন কি করবেন?
দেরি না করে আজই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে যান এবং আবেদনের নিয়মাবলী ভালো করে জেনে নিন। নিচে ওয়েবসাইটের লিঙ্ক (link) দেওয়া হল:
[জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট (official website) লিঙ্ক]
আরও তথ্যের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট (official website) নিয়মিত ভিজিট (visit) করুন।
যদি কোনো প্রশ্ন থাকে, তাহলে নিচে কমেন্ট (comment) করে জানান। আমরা আপনার প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব।
শুভকামনা!