HSC এর পর বিদেশে পড়াশোনা করার স্বপ্ন আমাদের অনেকেরই থাকে। কিন্তু সঠিক তথ্য ও গাইডলাইনের অভাবে সেটা কেবলই স্বপ্ন থেকে যায়, ছুঁয়ে দেখা হয় না।
আজকের ব্লগে আমরা বিদেশে উচ্চশিক্ষার সকল খুঁটিনাটি তথ্য জানার চেষ্টা করবো। কীভাবে ও কখন থেকে প্রস্তুতি নেওয়া উচিৎ, বিদেশে স্কলারশিপ পাওয়া উপায়, বিদেশে পড়াশোনার যোগ্যতা ও খরচ সবকিছু জানবো।
বিদেশের বিভিন্ন নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনা মান, সারাবিশ্বে গ্রহণযোগ্যতা, চাকরির সুযোগ-সুবিধা ইত্যাদি কারণে আমাদের অধিকাংশ শিক্ষার্থীর কখনও না কখনও বিদেশে পড়তে যাওয়ার ইচ্ছে হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, জার্মানি, চীন, জাপান সহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ফুল ব্রাইট স্কলারশিপ পাওয়ার সুযোগ রয়েছে।
আপনারাও যেন এসব সুযোগকে কাজে লাগিয়ে শিক্ষা ও ক্যারিয়ার জীবনে ভালো কিছু অর্জন করতে পারেন তারই লক্ষ্যে এই ব্লগটি প্রকাশ করা।
এইচএসসি এর পর বিদেশে পড়াশোনা করবেন কেন?
বিদেশে পড়াশোনা বলতে আমরা উন্নত বিশ্বের দেশগুলোকে বুঝিয়ে থাকি। একথা সবাই কম-বেশি জানি যে এসব দেশের বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজগুলোর লেখাপড়ার মান, পরিবেশ ইত্যাদি বিশ্বমানের।
ফলে সবারই ইচ্ছে থাকে এসব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন করা।
আর এইচএসসি এর পরে বিদেশে পড়াশোনা করতে গেলে স্কলারশিপ পাওয়ার বেশ ভালো একটা সুযোগ থাকে। আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের জন্য সবচেয়ে বেশি সংখ্যক শিক্ষাবৃত্তি দেওয়া হয়।
এছাড়া অনেক দেশে মাস্টার্স ও পিএইচডি প্রোগ্রামের চেয়ে ব্যাচেলর প্রোগ্রামে বেশি বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হয়। এতে একবার ব্যাচেলর প্রোগ্রামে ভর্তির সুযোগ পেলে সে দেশ থেকে পরবর্তীতে সহজে মাস্টার্স সম্পন্ন করা যায়।
HSC এর পর বিদেশে পড়াশোনা করার গাইডলাইন
অনেক ছেলে-মেয়েদের বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহনের স্বপ্ন ও সুযোগ থাকলেও সঠিক তথ্য, পরামর্শ ও গাইডলাইনের অভাবে সেই স্বপ্ন পূরণ করতে পারে না।
এবার আমরা জানবো HSC এর পর বিদেশে পড়াশোনা করতে কিভাবে ধাপে ধাপে প্রস্তুতি নিবেন। এখানে উল্লিখিত সবগুলো স্টেপ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
১. লক্ষ্য নির্ধারণ করা
যেকোনো কাজের শুরুতে একটা নির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করে যে অনুযায়ী পরিকল্পনা তৈরি করা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এতে কাজে সাফল্য পাওয়া সহজ হয়।
বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে একাধিক সেমিস্টার থাকে। যেমন সামার সেমিস্টার, স্প্রিং সেমিস্টার, অটাম সেমিস্টার ইত্যাদি।
আপনি এইচএসসি এর পর কোন সেমিস্টারে ভর্তি হবেন এবং কত সময় নিবেন সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিন। একটা লক্ষ্য নির্ধারণ করুন যে আপনি কেন দেশের বাইরে পড়তে যেতে যান, দেশে নয় কেন।
লক্ষ্য অনুযায়ী একটা পরিকল্পনা সাঁজাতে হবে। তবে পরিকল্পনা লিখিত হওয়া ভালো। এই পরিকল্পনায় কী কী বিষয় রাখবেন তা নিচের অংশে বলছি।
HSC পরীক্ষার অন্তত ৬ মাস আগে থেকে পরিকল্পনা করা উচিত এবং সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নিতে হবে। বিদেশে পড়তে যাওয়ার সিদ্ধান্ত একজন শিক্ষার্থী ও পরিবারের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই ভেবে-চিন্তে সময় নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরামর্শ থাকবে।
২. একাডেমিক ফলাফল ভালো করা
বিদেশে উচ্চশিক্ষার নেশায় শুধু বুদ হয়ে থাকলেই চলবে না। পাশাপাশি একাডেমিক ফলাফল অর্জনেও সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে।
আপনার একাডেমিক ফলাফল ভালো বিশ্ববিদ্যালয়, পছন্দের বিষয় ও স্কলারশিপ পেতে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখবে। তাই একাডেমিক পড়াশোনাকে মোটেও হেলা করলে চলবে না।
৩. আইইএলটিএস এর প্রস্তুতি নেওয়া
একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি ইংরেজি ভাষাটা আয়ত্ত করে নিতে হবে। বিদেশে পড়লে চাইলে বা কাজ করতে চাইলে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ইংরেজি ভাষাগত দক্ষতা।
ইংরেজি হলো সারাবিশ্বের সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য ভাষা। আপনি যে দেশেই যান না কেন এটি আপনার প্রয়োজন পড়বেই।
আর ইংরেজিতে দক্ষতার সনদ হলো International English Language Testing System বা সংক্ষেপে IELTS.
ব্যাচেলর প্রোগ্রামের জন্য কোনো দেশে যেতে চাইলে ন্যূনতম IELTS এর Band-6.0 প্রয়োজন হবে। তবে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়ার বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে আরও বেশি স্কোর লাগে।
ঢাকা, খুলনা, চট্টগ্রামের মতো বড় বিভাগীয় শহরগুলোতে IELTS এর কোচিং করানো হয়। আপনি এইচএসসির প্রস্তুতির পাশাপাশি সেসব কোচিং থেকে ইংরেজি ভাষাটা শিখে নিতে পারেন।
এছাড়া আপনি যদি শহর এলাকা থেকে দূরে থাকেন তবুও ঘরে বসেই আইইএলটিএস এর প্রস্তুতি নিতে পারবেন। অনেক কোচিং সেন্টার বা এড টেক প্রতিষ্ঠান অনলাইনে ক্লাস নিয়ে থাকে। আবার ইউটিউবে এ বিষয়ক অনেক ফ্রি ভিডিও পাওয়া যায়।
৪. বিশ্ববিদ্যালয় খোঁজা
বিদেশে পড়তে যাওয়ার উদ্দেশ্য থাকলে অন্তত ৬ মাস আগে থেকে বিশ্ববিদ্যালয় খোঁজা শুরু করে দিন।
অনলাইনে এ বিষয়ক অনেক তথ্য পাওয়া যায়। আপনার পরিবারের আর্থিক সামর্থ্য অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন করবেন।
কোন দেশের কোন বিশ্ববিদ্যালয় কী কী কোর্স অফার করছে সেসব বিষয়ে গবেষণা শুরু করে দিন। আপনার পছন্দের কোনো বিশ্ববিদ্যালয় থাকলে সেখানে কী কী সুযোগ-সুবিধা আছে, পড়াশোনার খরচ কেমন তার খোঁজখবর নিন।
StudyPortal ওয়েবসাইট থেকে আপনি ব্যাচেলর প্রোগ্রামের জন্য কোর্স খুঁজতে পারেন। কোন দেশে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে কী ধরনের কোর্সের ব্যয় কেমন তার একটা ধারণা পাবেন এই ওয়েবসাইট থেকে।
কোর্স বাছাইয়ের ক্ষেত্রে নিজের পছন্দ ও আগ্রহের বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দেবেন। এছাড়া বৈশ্বিকভাবে কোন ধরণের কোর্সের চাহিদা কেমন সেটাও জেনে নেবেন।
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচনের সময় খেয়াল রাখবেন যে শহরে থাকতে চান সেখানকার খরচ কেমন, কাজের সুযোগ আছে কিনা। একই দেশে ভিন্ন ভিন্ন শহরে জীবনযাত্রার ব্যয় ভিন্ন ভিন্ন।
৫. তৃতীয় ভাষা শেখা
জার্মান, চীন, জাপানের মতো দেশগুলোতে স্থানীয়রা তাদের নিজস্ব ভাষায় কথা বলে। ইংরেজি ভাষার প্রচলন এসব দেশে কম।
আপনি যদি HSC এর পর বিদেশে পড়াশোনার জন্য এমন কোনো দেশে যেতে চান যেখানকার স্থানীয় ভাষা ইংরেজি নয় তাহলে ইংরেজির পাশাপাশি সে দেশের স্থানীয় ভাষাটাও শিখতে হবে।
যেমন চীনে যেতে চাইলে চীনা ভাষা, জার্মানি যেতে চাইলে জার্মান ভাষা আর জাপানে যেতে চাইলে জাপানি ভাষা শিখতে হবে।
স্থানীয় ভাষা জানা থাকলে প্রচুর কাজের সুযোগ থাকে। এর ফলে পড়াশোনার পাশাপাশি পার্ট-টাইম কাজ করে নিজের খরচ মেটানো যায়।
স্থানীয় ভাষা না জানলে যে কাজের সুযোগ পাবেন না বিষয়টি তেমন নয়। তবে স্থানীয় ভাষা জানা থাকলে কাজের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন।
এছাড়াও স্থানীয় নাগরিকদের সাথে সহজেই যোগার করতে পারবেন, তাদের সংস্কৃতির সাথে মিশে যেতে পারবেন।
৬. প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করা
আপনি যখন বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন তখন অনেকটা ধারণা পাবেন যে ভিসা ও পাসপোর্ট সংক্রান্ত কাজের জন্য কী কী ডকুমেন্টস লাগবে।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আগেভাগে সংগ্রহ করে রাখুন। এতে জরুরি মুহুর্তে সহজেই তা হাতের কাছে পাবেন এবং অনেকটা চাপমুক্ত থাকতে পারবেন।
বিদেশে পড়তে যেতে একজন শিক্ষার্থীর যেসব সাধারণ কাগজপত্র লাগে সেগুলো হলো:
- পাসপোর্ট ও ভিসা
- জন্ম নিবন্ধন সনদ অথবা এনআইডি কার্ড
- একাডেমিক সার্টিফিকেট ও ট্রান্সক্রিপ্ট
- ব্যাংক স্টেটমেন্ট
- রেকোমেন্ডেশন লেটার
- স্টেটমেন্ট অব পারপাস (SOP)
- ভাষাগত দক্ষতার সার্টিফিকেট
- পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি
এসব কাগজপত্র পত্র আগে থেকে হাতের কাছে রাখুন। যদিও ভিসার আবেদন করতে হয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে Acceptance Letter হাতে পাওয়ার পরে।
আরও পড়ুন: ঘরে বসে পাসপোর্ট করার নিয়ম
উপরে বর্ণিত ধাপগুলো অনুসরণ করে HSC এর পরে বিদেশে উচ্চশিক্ষার প্রস্তুতি নিতে পরেন।
বিদেশে পড়াশোনার যোগ্যতা কী?
অনেকেই বিদেশে পড়াশোনা যোগ্যতা সম্পর্কে জানতে চান। একেক দেশের একেক বিশ্ববিদ্যালয়ে এই যোগ্যতা ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে।
তাই এ সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট করে বলা বেশ মুশকিল। তবে আপনি যদি এইচএসসির পরে যেতে চান তাহলে দেশে কমপক্ষে ১২ বছরের স্কুলিং করতে হবে। ব্যাচেলর এর পরে যেতে চাইলে কমপক্ষে ১৬ বছরের স্কুলিং করতে হবে।
এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ে শর্তের সাথে আপনার সামঞ্জস্যতা রক্ষা করতে হবে। ন্যূনতম IELTS এর স্কোর অর্জন করতে হবে।
বিদেশি শিক্ষার্থী বেশিরভাগ ক্ষেত্রে Entrance Exam ছাড়াই ভর্তির সুযোগ পেয়ে থাকে। তবে মেডিকেল এর মতো কিছু কোর্সে Entrance Exam দিতে হয়।
বিদেশে পড়াশোনার খরচ কেমন?
বিদেশে পড়াশোনা করতে যাওয়ার ক্ষেত্রে খরচ একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ বেশির শিক্ষার্থীই তার স্বপ্ন পূরণের এই ধাপে এসে থেমে যায়।
অনেকের স্বপ্ন, ইচ্ছে ও যোগ্যতা থাকা সত্বেও খরচ মেটাতে না পারার কারণে দেশের বাইরে উচ্চশিক্ষার জন্য যেতে পারেন না।
পড়াশোনা ও থাকার খাওয়ার খরচ প্রতিটি দেশেই ভিন্ন ভিন্ন। তাই সুনির্দিষ্ট করে তথ্য দেওয়া সম্ভব না। তবে একটা ধারণা দেওয়া যেতে পারে।
নিচে কয়েকটি দেশের পড়াশোনা ও থাকার খাওয়ার বাৎসরিক আনুমানিক খরচের ধারণা দেওয়া হলো।
- যুক্তরাষ্ট্র: ১৫-১৭ লাখ টাকা
- যুক্তরাজ্য: ১৫-২০ লাখ টাকা
- জার্মানি: ১২-১৫ লাখ টাকা
- কানাডা: ১৫-২০ লাখ টাকা
- জাপান: ১২-১৭ লাখ টাকা
এখানে উল্লিখিত সকল ব্যয়ের মধ্যে থাকা খাওয়া ও অন্যান্য খরচ অন্তর্ভুক্ত আছে। তবে এটি একটা আনুমানিক ব্যয়। মূলত দেশ, শহর, বিশ্ববিদ্যালয় ও কোর্সের উপরে ভিত্তি করে খরচ ভিন্ন হয়।
বিনা খরচে বিদেশে পড়াশোনা করবেন যেভাবে
যারা অর্থের প্রতিবন্ধকতা পার করে বিদেশে পড়তে যাওয়ার স্বপ্ন পূরণ করতে পারছেন না তাদের বিনা খরচে বিদেশে পড়াশোনার সুযোগ রয়েছে।
পৃথিবীর এমন কিছু দেশ রয়েছে যেখানে বিদেশি শিক্ষার্থীরা টিউশন ফি ছাড়াই পড়তে পারে। এরকম দেশের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে জার্মান।
জার্মানের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে টিউশন ফি নেই। শুধু লাইব্রেরি, ল্যাবসহ অন্যান্য কিছু খরচ রয়েছে। এছাড়া থাকা-খাওয়ার খরচ আছে। এগুলো একজন শিক্ষার্থী পার্ট-টাইম চাকরি করে ব্যবস্থা করতে পারবে।
জার্মানি ছাড়া ফ্রান্স, গ্রিস, নরওয়ে, তাইওয়ানের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে টিউশন ফি লাগে না।
এছাড়াও স্কলারশিপ নিয়েও বিনা খরচে বিদেশে পড়াশোনা করার সুযোগ রয়েছে। কিভাবে স্কলারশিপ পাবেন সে বিষয়ে আলোচনা করবো নিচের অংশে।
বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য স্কলারশিপ পাওয়ার উপায়
ব্যাচেলর, মাস্টার্স ও পিএইচডি এর বিভিন্ন কোর্সে পড়ার জন্য বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের অনেক বৃত্তির সুযোগ রয়েছে। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে থাকে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, জার্মানি, ফ্রান্স, চীন, জাপানের মতো উন্নত দেশগুলো।
বিনা খরচে বিদেশে পড়াশোনা করতে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য কিছু জনপ্রিয় স্কলারশিপ হলো:
- জার্মানের DAAD স্কলারশিপ
- জাপানের MEXT স্কলারশিপ
- ভারতের ICCR স্কলারশিপ
- চীনের CSC স্কলারশিপ
স্কলারশিপ পেতে হলে প্রথমে সিদ্ধান্ত নিতে হবে কোন দেশে যেতে চান। এরপরে সে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও দূতাবাসের ওয়েবসাইটে খোঁজ নিতে হবে।
বাংলাদেশে অবস্থিত বিভিন্ন দেশের দূতাবাসের ওয়েবসাইট, ইউজিসির ওয়েবসাইট ও আরো বেশ কিছু অর্গানাইজেশনের ওয়েবসাইটে বৃত্তি সংক্রান্ত তথ্য পাওয়া যায়।
এসব বিজ্ঞপ্তি পর্যালোচনা করে তাদের চাহিদা আপনার সাথে মিললে ওয়েবসাইটে অথবা তাদের দেখানো নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে আবেদন করতে হবে।
আপনি যদি উক্ত শিক্ষাবৃত্তির জন্য যোগ্য হন তাহলে তারা ইমেইলে আপনাকে জানিয়ে দেবে। এরপরে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও ফর্মালিটি সম্পন্ন করতে হবে।
ইতিকথা
আপনাকে অনেক বেশি ধন্যবাদ। আজকের ব্লগটি যদিও বেশ লম্বা ছিল। তবে চেষ্টা করেছি HSC এর পর বিদেশে পড়াশোনা বিষয়ক সকল তথ্য উপস্থাপনের।
আজকের লেখাটি যদি আপনাদের উপকারে আসে তাহলে আমার পরিশ্রম সার্থকতা পাবে।
এ বিষয়ে আরও কিছু জানতে চাইলে বা প্রশ্ন থাকলে কমেন্টে জানাতে পারেন। আমরা যথাযথ উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবো।