বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় B2B (Business to Business) মার্কেটপ্লেস হলো আলিবাবা। এখান থেকে প্রায় ১৯০+ দেশের খুচরা ব্যবসায়ীরা পাইকারি মূল্যে পণ্য ক্রয় করে ব্যবসায় করছে।
বাংলাদেশের অসংখ্য ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আলিবাবার মাধ্যমে সরাসরি চায়না থেকে পণ্য আমদানি করে খুচরা বিক্রয় করে থাকে। আপনি যদি উদ্যোক্তা হতে চান, ছোট পরিসরে চায়নিজ পণ্যের ব্যবসায় শুরু করতে চান তাহলে আলিবাবা ওয়েবসাইট আপনাকে পণ্য আমদানিতে সহযোগিতা করবে।
আলিবাবা থেকে পণ্য কেনার নিয়ম |
আর আজকের এই ব্লগটি আপনাকে পণ্য আমদানির প্রক্রিয়া, পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবে। এই ব্লগে আমরা আলোচনা করবো আলিবাবা থেকে পণ্য কেনার নিয়ম সম্পর্কে। এছাড়া কিছু দিকনির্দেশনা, সতর্ক বার্তা ও টিপস শেয়ার করবো।
আলিবাবা কি এবং কেন?
ইলেকট্রনিকস, বাচ্চাদের খেলনা, পোষাক, কিচেন সামগ্রী থেকে শুরু করে বেশিরভাগ পণ্য সামগ্রী তৈরির সবচেয়ে বড় দেশ হলো চায়না।
চায়নায় তৈরিকৃত পণ্য বিশ্বের প্রায় সকল দেশেই আমদানি করা হয়। এর পেছনে বেশ কিছু কারণও রয়েছে। চায়নিজ পণ্যের গুণগত মান অনুযায়ী দাম অনেকটাই কম, পছন্দমতো পণ্য বাছাইয়ের সুযোগ, প্রায় সকল ধরণের পণ্যসামগ্রীর সম্ভার ইত্যাদি।
আলিবাবা হলো এমন একটা B2B মার্কেটপ্লেস যেখানের চায়নার বিভিন্ন সাপ্লায়ার ও প্রডিউসার তাদের পণ্য লিস্ট করে রাখে। পৃথিবীর প্রায় ১৯০ টির বেশি দেশ থেকে ব্যবসায়ীরা সেই পণ্য ক্রয় করতে পারে আলিবাবার মাধ্যমে।
আলিবাবা থেকে পণ্য কেনার নিয়ম
আলিবাবা থেকে দুইভাবে পণ্য ক্রয় করা যায়। একটি হলো সরাসরি আলিবাবার লজিস্টিক সিস্টেমের মাধ্যমে আর অপরটি হলো থার্ড পার্টি কুরিয়ার কোম্পানির মাধ্যমে।
সরাসরি আলিবাবার লজিস্টিক সিস্টেমের মাধ্যমে বাংলাদেশে পণ্য আনলে খরচ অনেক বেশি হয় এবং বন্দর থেকে পণ্য খালাসের সময় বিভিন্ন ধরনের লাইসেন্সের প্রয়োজন পড়ে।
যেহেতু আপনারা অনেকেই ছোট ব্যবসায়ী, বা নতুন ব্যবসায়ী কাজেই আপনাদের ট্রেড লাইসেন্স কিংবা এলসি (Letter of Credit) থাকার কথা না।
আরও পড়ুন: অনলাইনে ট্রেড লাইসেন্স করার নিয়ম
তাই আজকে আমরা দ্বিতীয় মাধ্যম অর্থাৎ থার্ড পার্টি কুরিয়ার কোম্পানির মাধ্যমে কিভাবে আলিবাবা থেকে পণ্য আমদানি করবো সে বিষয়ে জানবো।
আলিবাবা থেকে পণ্য ক্রয় করার নিয়ম মাত্র ৪টি ধাপে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করবো আজকের এই ব্লগে। নিচের ধাপগুলি অনুসরণ করুন:
ধাপ-১: একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন
আলিবাবা থেকে পণ্য আমদানি করতে আপনাকে প্রথমেই যে কাজটি করতে হবে সেটা হলো Alibaba মোবাইল অ্যাপ অথবা ওয়েবসাইটে একটি একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করা।
যেহেতু সবার ল্যাপটপ বা কম্পিউটার থাকে না সেজন্য এই টিউটোরিয়ালে আমরা মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে দেখাবো কিভাবে পণ্য ক্রয় করবেন।
একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করার জন্য প্লে-স্টোর অথবা অ্যাপ-স্টোর থেকে Alibaba অ্যাপটি ফোনে ইনস্টল করে নিন। এরপরে সেটি ওপেন করে Sign in/Register বাটনে ক্লিক করুন।
ধাপ-১: একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন |
এবার একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করার জন্য ৩টি মাধ্যম দেখতে পাবেন। এখান থেকে আমরা গুগল একাউন্টের মাধ্যমে রেজিষ্ট্রেশন করবো, যেহেতু প্রায় সবারই গুগল একাউন্ট থাকে।
একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হলে এবার আপনার প্রোফাইল এডিট করতে হবে। এজন্য মোবাইল স্ক্রিনের নিচের ডান দিকে My Alibaba অপশনে ক্লিক করুন।
প্রোফাইল এডিট করুন |
এবার একদম উপরে আপনার নামের নিচে দেখতে পাবেন আপনার প্রোফাইল কতটুকু সম্পন্ন হয়েছে। তার ডানপাশে Edit লেখায় ক্লিক করলে প্রোফাইল এডিট করে তথ্য পরিবর্তন করতে পারবেন।
এখানে থেকে Shipping Country, Currency, Store Name ইত্যাদি যুক্ত করলে আপনার প্রোফাইল প্রস্তুত হয়ে যাবে।
ধাপ-২: পণ্য খুঁজে বের করা
যদিও এই ধাপটি আগে থেকেই সম্পূর্ণ করা উচিত। কারণ আপনি কোন পণ্য নিয়ে ব্যবসায় শুরু করবেন সেটা যদি আগে থেকে নির্ধারণ না করে থাকেন তাহলে লোকসান গুনতে পারেন।
চায়না-তে ১ টাকার নোজ পিন থেকে শুরু করে কোটি টাকার গাড়ি উৎপাদিত হয়। কিন্তু আপনি কোন ধরনের প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করতে চাচ্ছেন সেটা আপনাকে খুঁজে বের করতে হবে।
এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে খুব ভালোভাবে সময় নিয়ে বাজার গবেষণা করুন। বাংলাদেশের বাজারে কোন পণ্যের চাহিদা আছে, কোন ধরনের পণ্য বাজারে কত দামে বিক্রি হচ্ছে, আপনি যে পণ্যের ব্যবসায় করতে চাচ্ছেন সেটা বাংলাদেশে বৈধ কিনা ইত্যাদি বিষয় ভালোভাবে খেয়াল রেখে এগোবেন।
আরো পড়ুন: মোবাইলে টাকা ইনকাম করার উপায়
কোন পণ্যের ব্যবসায় করতে চান সেটা নির্ধারিত হয়ে গেলে আলিবাবা অ্যাপে পণ্যের নাম লিখে সার্চ করুন। এখানে আপনি একই ধরনের পণ্য অনেক সাপ্লায়ার ও ম্যানুফ্যাকচারের কাছে পাবেন।
যেহেতু আলিবাবা থেকে পাইকারি মূল্যে পণ্য ক্রয় করতে হয় সেহেতু এখানে একটা মিনিমাম অর্ডার কোয়ান্টিটি (MOQ) থাকে। কম দামের পণ্যের ক্ষেত্রে MOQ বেশি হয়।
এছাড়া আপনি কতটুকু অর্ডার করবেন সে অনুযায়ী দাম কম-বেশি হয়ে থাকে। যদি অল্প পরিমাণ প্রোডাক্ট নেন তাহলে প্রতি পিসের দাম বেশি হবে। আর যদি অনেক পরিমাণ পণ্য নেন তাহলে প্রতি পিসের দাম তুলনামূলক কম হবে।
ধাপ-২: পণ্য খুঁজে বের করুন |
আলিবাবা অ্যাপে প্রোডাক্ট সার্চ করার সময় আপনি বেশ অনেক ধরনের ফিল্টার ও ফিচার ব্যবহার করতে পারবেন।
যেমন ধরুন, আমি Table Lamp ক্রয় করতে চাচ্ছি। এজন্য এটি লিখে সার্চ করলাম। এখন আমি চাচ্ছি যে কোন কোন সাপ্লায়ার টেবিল ল্যাম্প বিক্রি করছে তাদের খুঁজে বের করবো। এজন্য সার্চ বারের নিচের ডানে Supplier অপশনটি নির্বাচন করলে আমি সেসব সাপ্লায়ারদের তালিকা দেখতে পাবো যারা টেবিল ল্যাম্প বিক্রি করে।
এছাড়া ফিল্টার অপশন থেকে কত টাকা বাজেটের মধ্যে পণ্য ক্রয় করতে চাচ্ছেন সেটা সেট করে দিতে পারেন, মিনিমাম অর্ডার কোয়ান্টিটি কত হবে, কালার কী হবে সব সেট করে দিতে পারবেন।
আলিবাবা থেকে পণ্য কেনার টিপস💡
১. আপনি যে Supplier বা Manufacturer এর থেকে পণ্য নিতে চাচ্ছেন সে আলিবাবা দ্বারা Verified কিনা তা দেখুন। এছাড়া সাপ্লায়ার সঠিক সময়ে পণ্য ডেলিভারি করতে পারছে কিনা, কত বছর ধরে আলিবাবা-তে ব্যবসায় করছে, রেটিং, রিভিউস ইত্যাদি দেখে নিন।
২. আপনি যে পণ্যটি আনতে চাচ্ছেন সেটা আপনার শোরুমে অথবা বাসা পর্যন্ত পৌছাতে মোট (শিপিং খরচ সহ) কত টাকা খরচ হচ্ছে এবং বাজারে পণ্যটি কত টাকায় বিক্রি হচ্ছে তা হিসাব করুন। আপনার কাঙ্ক্ষিত পণ্যটির খরচের চেয়ে যদি ৪০%-৫০% মুনাফায় বিক্রি করতে না পারেন তাহলে এই ব্যবসায়ে আপনি টিকে থাকতে পারবেন না।
সাপ্লায়ার সম্পর্কে জানতে প্রোডাক্ট পেইজের নিচের দিকে স্ক্রল করুন। এখানে নিচের ছবির মতো অপশন পাবেন। আরো বিস্তারিত জানতে Company Profile বাটনে ক্লিক করুন।
ধাপ-৩: শিপিং কোম্পানি খুঁজে বের করা
আমি আগেই বলেছি, আপনি যদি আলিবাবার নিজস্ব শিপিং সিস্টেমে বাংলাদেশে প্রোডাক্ট আনতে চান তাহলে প্রথমত শিপিং চার্জ অনেক হবে এবং দ্বিতীয়ত বন্দর থেকে প্রোডাক্ট আনতে বিভিন্ন কাগজপত্র লাগবে।
এই সমস্যার সহজ সমাধান হলো থার্ড পার্টি শিপিং কোম্পানির মাধ্যমে চায়না থেকে বাংলাদেশে পণ্য আমদানি করা।
এজন্য আপনাকে একটা বিশ্বস্ত শিপিং এজেন্সি খুঁজে বের করতে হবে। বাংলাদেশে এমন অনেক শিপিং কোম্পানি আছে যাদের চায়না ও বাংলাদেশ দুই জায়গাতেই নিজস্ব ওয়্যারহাউজ আছে।
তারা আপনার হয়ে চায়ানা থেকে প্রোডাক্ট এনে দিবে। বাংলাদেশের বন্দরে, কাস্টমস-এ আপনাকে দৌড়াদৌড়ি করতে হবে না। সমস্ত কাজ তারা করবে। এর বিনিময়ে একটা চার্জ রাখে। সাধারণত এই শিপিং চার্জ কেজি প্রতি হিসাব করা হয়। একেক জাতীয় পণ্যের জন্য শিপিং চার্জ একেকরকম।
আপনি যদি ফেসবুকে China to BD shipping লিখে সার্চ করেন তাহলে এমন অনেক পেইজ দেখতে পাবেন যারা চায়না থেকে পণ্য আনে। তারা জাস্ট কুরিয়ার কোম্পানির মতো কাজ করে।
ফেসবুকের অসংখ্য পেইজ থেকে রিভিউ, রেটিং সহ অন্যান্য বিষয়াদি দেখে কোনো একটা এজেন্সির সাথে চুক্তি করবেন।
ধাপ-৪: পণ্যের অর্ডার নিশ্চিত করা
আলিবাবা থেকে পণ্য কেনার নিয়ম এর এ পর্যায়ে আপনাকে আলিবাবার সাপ্লায়ারের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। আপনি যে পণ্যটি ক্রয় করতে চাচ্ছেন সেটির নিচের দিকে স্ক্রল করলে Chat now নামে একটা অপশন পাবেন।
চ্যাট করার শুরুতে আপনার কাঙ্ক্ষিত পণ্যের লিংকটি পাঠিয়ে দিন। আপনার কত পিস পণ্য লাগবে, দাম কমানো যাবে কিনা, পণ্য কাস্টমাইজ করে নেওয়া যাবে কিনা, সুন্দর করে প্যাকেজিং করতে পারবে কিনা ইত্যাদি বিষয় সাপ্লায়ারের থেকে জেনে নিবেন।
বিস্তারিত আলোচনা করে নিশ্চিত হলে সাপ্লায়ারকে বলবেন আপনার হয়ে সে যেন একটি অর্ডার তৈরি করে দেয়। সে একটি কাস্টম অর্ডার তৈরি করে দেবে এবং পেমেন্টের একটি লিংক দেবে সে লিংকে ক্লিক করে আপনি পেমেন্ট করবেন।
পেমেন্ট সম্পন্ন হলে তাকে বলবেন আপনার শিপিং এজেন্টের অ্যাড্রেসে (চায়নাতে) প্রোডাক্টটি পৌছে দিতে। এজন্য হয়তো কিছু চার্জ কাটবে, এটা ৫-১০ ডলার হতে পারে।
আপনার শিপিং এজেন্টের ওয়্যারহাউযে পণ্য পৌছে গেলে তারা সকল প্রসেসিং সম্পন্ন করে পণ্যটি আপনার বাংলাদেশি ঠিকানায় পৌছে দেবে।
পণ্যের স্যাম্পল গ্রহণ
আপনি যদি কোনো দামি পণ্য আমদানি করতে চান তাহলে অনেক পণ্য আমদানি করার পূর্বে একটি পণ্য (Sample) আমদানি করুন।
আলিবাবা-তে এই সুবিধাটা পাওয়া যায়। কোনো পণ্য সম্পর্কে আপনার সন্দেহ থাকলে বা পণ্যের গুণগত মান নিজে যাচাই করে দেখতে চাইলে অর্ডার কনফার্ম করার পূর্বে স্যাম্পল নিতে পারবেন।
পণ্যের প্রতি ইউনিটের পাইকারি দামের চেয়ে স্যাম্পলের দাম সাধারণত বেশি হয়ে থাকে। যদি কোনো পণ্যের প্রতি ইউনিট ৫ ডলার হয় তাহলে স্যাম্পল কিনতে হয়তো আপনাকে ৮-১০ ডলার দিতে হবে।
আরও পড়ুন: অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করুন
সাপ্লায়ারের সাথে যোগাযোগ করে স্যাম্পল ক্রয় করতে পারবেন।
আলিবাবা থেকে কেনা কি নিরাপদ?
অনলাইনে পণ্য কেনাকাটার ক্ষেত্রে আমাদের মাথায় সবচেয়ে যে প্রশ্নটি আসে তা হলো নিরাপত্তার বিষয়টি। আলিবাবা থেকে প্রায় কয়েক লাখ ব্যবসায়ী প্রতিনিয়ত পণ্য ক্রয় করে ব্যবসায় করছে।
এটি একটি প্রতিষ্ঠিত ও জনপ্রিয় প্রতিষ্ঠান। আলিবাবা থেকে কেনা অবশ্যই নিরাপদ। তবে খেয়াল রাখতে হবে আপনি কোন সাপ্লায়ারের থেকে পণ্য ক্রয় করছেন।
পণ্য কেনার আগে অবশ্যই যাচাই-বাছাই করে নিবেন যে সাপ্লায়ার সময়মতো পণ্য পৌছাতে পারে কিনা, অন্যান্য ক্রেতারা তার পণ্য ও তার সম্পর্কে কেমন রিভিউ ও রেটিং দিচ্ছে, সাপ্লায়ার কতদিন যাবৎ আলিবাবা-তে ব্যবসায় করছে, তার শপটি verified কিনা।
এসব বিষয় খেয়াল রেখে পণ্য ক্রয় করলে আশা করি আপনি প্রতারিত হবেন না।
আলিবাবার পেমেন্ট পদ্ধতি
আলিবাবার পেমেন্ট পদ্ধতি অনেক বেশি নিরাপদ। এখানে অনেকগুলো Payment Channel ব্যবহার করে পণ্য ক্রয় করা যায়।
বাংলাদেশে আলিবাবা থেকে পণ্য কেনার নিয়ম হিসেবে অনেকেই শুধু ডুয়েল কারেন্সি কার্ড ব্যবহার করে থাকেন। তবে আলিবাবা-তে আরো অনেক পেমেন্ট চ্যানেল রয়েছে। যেমন পেপাল, ভিসা কার্ড, অ্যামেক্স কার্ড, মাস্টার কার্ড, গুগল পে, অ্যাপল পে, টেলিগ্রাফিক ট্রান্সফার (TT) ইত্যাদি।
যেহেতু বাংলাদেশে অন্যান্য পেমেন্ট চ্যানেলগুলো ওতটা জনপ্রিয় না সেজন্য বাংলাদেশিরা সাধারণত ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে থাকেন।
মনে রাখবেন আপনি Visa অথবা Master Card যে ধরনের কার্ড ব্যবহার করেন না কেন সেটা যেন অবশ্যই ডুয়েল কারেন্সি হয়। অথবা তাতে যেন US Dollar দিয়ে লেনদেন করা যায় সে বিষয়টা নিশ্চিত হবেন।
ব্লগের সারসংক্ষেপ
আশা করবো আজকের ব্লগটি আপনি যদি সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে পড়েন তাহলে আলিবাবা থেকে বাংলাদেশে পণ্য আমদানির বিষয়টা ভালোভাবে বুঝতে পারবেন।
আলিবাবা থেকে পণ্য কেনার নিয়ম সম্পর্কিত পুরো প্রক্রিয়াটা খুব সংক্ষেপে জেনে নিই। প্রথমে আলিবাবা অ্যাপে একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করবেন এবং আপনার কাঙ্ক্ষিত পণ্যটি সূলভ মূল্যে খুঁজে বের করুন।
এরপরে একটা থার্ড পার্টি শিপিং কোম্পানি খুঁজে বের করুন যারা আপনার পণ্যটি চায়না থেকে বাংলাদেশে আপনার ঠিকানায় এনে দেবে। এইরকম প্রতিষ্ঠান পেলে তাদের সাথে বিস্তারিত কথা বলে খরচের বিষয়টি পাকাপোক্ত করুন।
এরপরের ধাপে আবার সেই পণ্যের সাপ্লায়ারের সাথে যোগাযোগ করুন। প্রয়োজনে দরক কষা-কষি করতে পারেন। কথা পাকাপোক্ত হলে পেমেন্ট করুন এবং বলুন সে যেন আপনার শিপিং কোম্পানির ওয়্যারহাউজে (চায়নায় অবস্থিত) পণ্যটি পৌছে দেয়।
আশা করি বুঝতে পেরেছেন। এ বিষয়ে আরো কোনো প্রশ্ন বা কনফিউশান থাকলে তা নিচের কমেন্ট বক্সে জানান। আমরা সঠিক উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবো।