ট্রেড লাইসেন্স করার নিয়ম ২০২৪ সম্পর্কে অবগত না থাকলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। আমরা এই ওয়েবসাইটে ব্যবসায় সম্পর্কে বিভিন্ন পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা দিয়ে থাকি। তারই ধারাবাহিকতায় আজকের আলোচ্য বিষয় Trade Liscence Registration in Bangladesh.
প্রতিটি দেশেই ব্যবসায়-বাণিজ্য বা অর্থনৈতিক লেনদেনের ক্ষেত্রে সরকারি নানান বিধি-নিষেধ ও নিয়মকানুন থাকে। আমাদের দেশেও সেরকম কিছু নিয়মকানুন মেনে তবেই ব্যবসায় পরিচালনা করতে হয়। কারণ কেউই আইনের উর্ধ্বে নয়।
ঠিক তেমনি ট্রেড লাইসেন্সও ব্যবসায়ের জন্য একটি আইনি নির্দেশনা। আপনি নতুন কোনো ব্যবসায় শুরু করেন কিংবা পুরাতন ব্যবসায় পরিচালনা করেন না কেন আপনার প্রতিষ্ঠানের নামের সপক্ষে একটা ট্রেড লাইসেন্স থাকা আবশ্যক।
স্থানীয় সরকার আইন-২০০৯ অনুযায়ী, ট্রেড লাইসেন্স ছাড়া কোনো ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা হলে তা দেশীয় আইনে অবৈধ হিসেবে বিবেচিত হবে।
নতুন পুরাতন সকল ব্যবসায়ীদের জন্যই ট্রেড লাইসেন্স কি এবং অনলাইনে ট্রেড লাইসেন্স আবেদন করার সঠিক পদ্ধতি সম্পর্কে ধারনা থাকতে হবে।
ট্রেড লাইসেন্স করার নিয়ম |
তো আর দেরি না লিখে চলুন আমাদের আজকের মূল আলোচনা ট্রেড লাইসেন্স করার নিয়ম কি তা জেনে নিই।
ট্রেড লাইসেন্স কি?
ট্রেড লাইসেন্স হলো দেশে বৈধভাবে ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট পক্ষ থেকে গৃহীত অনুমতিপত্র। এটি কোনো ব্যবসায়ের কর্মকাণ্ডকে বৈধতা প্রদান করে।
ইউনিয়ন পরিষদ কিংবা পৌর এলাকায় ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান গড়ে তুললে স্থানীয় সরকারের কাছ থেকে এই অনুমতিপত্র সংগ্রহ করতে হয়।
এজন্য নির্ধারিত নিয়ম মেনে, ফি জমাদানের মাধ্যমে আবেদন করতে হয়। এরপর আবেদন যাচাই-বাছাই করে সবকিছু সঠিক মনে হলে নিবন্ধক তার বইতে ওই প্রতিষ্ঠানের নাম লিপিবদ্ধ করে এবং আবেদনকারীকে ট্রেড লাইসেন্স সরবরাহ করে।
ট্রেড লাইসেন্স করতে কি কি লাগে?
আমরা সকলেই জানি যে অফিসিয়াল বা দপ্তরিক যেকোনো কাজের জন্য আমাদের বেশ কিছু কাগজপত্রের প্রয়োজন পড়ে। ট্রেড সাইলেন্সের ব্যাপারেও তার কোনো ব্যতিক্রম ঘটে না।
ট্রেড লাইসেন্স করার নিয়ম ২০২৪ সম্পর্কে জানার আগে আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস আমাদের সংগ্রহে আছে কিনা তা নিশ্চিত হতে হবে। যেসকল কাগজপত্রের প্রয়োজন হবে তার একটি তালিকা নিচে উল্লেখ করা হলো।
ট্রেড লাইসেন্স করতে যা যা কাগজপত্র লাগে:
- একমালিকানা ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে মালিকের তিন কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি (অংশীদারি ব্যবসায় হলে প্রত্যেক অংশীদের তিন কপি করে)
- মালিকের বা অংশীদারদের জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি
- ইউটিলিটি বিলের একটা কপি
- ভাড়া জমি বা দোকানে প্রতিষ্ঠান হলে জমি/দোকানের মালিকের সাথে সম্পাদিত চুক্তিপত্রের ফটোকপি
ট্রেড লাইসেন্স ফি তালিকা
বাংলাদেশে প্রায় ২৯৪ ধরনের ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের জন্য ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু করা হয়। ভিন্ন ভিন্ন ধরনের ব্যবসায়ের ট্রেড লাইসেন্স খরচও ভিন্ন।
এই ২৯৪টি ব্যবসায়ের খরচ সম্পর্কে এই পোস্টে উল্লেখ করলে লেখাটি অনেক লম্বা হয়ে যাবে। আর আমাদের উদ্দেশ্য শুধু ট্রেড লাইসেন্স ফি সম্পর্কে জানানো নয়।
নিচে খরচ সম্পর্কে একটা ধারণা দেওয়া হলো। এই খরচ ৩ শত টাকা থেকে ১২ হাজার টাকা পর্যন্ত হতে পারে। ট্রেড লাইসেন্স ফি তালিকা ২০২৪:
- লিমিটেড কোম্পানির ফি ১৫০০-১২০০০ টাকা
- ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ফি ৩০০০-১০০০০ টাকা
- ট্রেনিং বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ফি ৫০০-৫০০০ টাকা
- ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের ফি ১০০০-৬০০০ টাকা
- লিমিটেড ব্যতিত উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের ফি ৩০০০-৫০০০ টাকা
- অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে এই ফি ৫০০-৪০০০ টাকা
আপনি যদি এই ফি সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গভাবে জানতে চান তাহলে নিচের পিডিএফ ফাইলটি ফোনে সেভ করে নিতে পারেন। এখানে ২৯৪ ধরনের প্রতিষ্ঠানের ট্রেড লাইসেন্স করার খরচের লিস্ট আছে।
ট্রেড লাইসেন্স করার নিয়ম ২০২৪
আজকের ব্লগের মূল টপিকে চলে এসেছি। এই অংশে আমরা ধাপে ধাপে ট্রেড লাইসেন্স আবেদন করার নিয়ম জানবো। এই ধাপগুলো খুব মনোযোগ সহকারে পড়ার অনুরোধ করছি।
ধাপ-১: আবেদন ফরম সংগ্রহ
ট্রেড লাইসেন্স করার সর্বপ্রথম ধাপ হলো নির্ধারিত অফিস থেকে আবেদন ফরম সংগ্রহ করা। এজন্য আপনাকে জানতে হবে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানটি কোন এলাকায় অবস্থিত। কারণ ইউনিয়ন ও পৌরসভা দুই এলাকার জন্য দুইটি ভিন্ন রেজিস্ট্রেশন অফিস থাকে।
আপনার ব্যবসায়ের অবস্থান যদি গ্রামে বা ইউনিয়ন পর্যায়ে থাকে তাহলে সেই ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ফরম সংগ্রহ করা যাবে। আর এটি যদি শহর, সিটি কর্পোরেশন বা পৌর এলাকায় হয়ে থাকে তাহলে পৌরসভার থেকে ট্রেড লাইসেন্স করার আবেদন ফরম নিতে হবে।
এছাড়া আপনি অনলাইন থেকে ফরম প্রিন্ট করে নিতে পারেন। এজন্য নিকটস্থ কোনো ফটোস্ট্যাট বা কম্পিউটারের দোকানে যোগাযোগ করতে হবে।
ধাপ-২: আবেদন ফরম পুরণ
এপর্যায়ে এসে সংগৃহীত আবেদন ফরমটি যথাযথভাবে পূরণ করতে হবে। সেই সাথে উপরে উল্লিখিত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঙ্গযুক্ত করতে হবে। প্রয়োজনে কাগজপত্র সত্যায়িত করা লাগতে পারে। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে সংশ্লিষ্ট অফিসে যোগাযোগ করুন।
ধাপ-৩: আবেদন ফরম জমাদান
ট্রেড লাইসেন্স করার নিয়ম এর তৃতীয় ধাপ হলো সংশ্লিষ্ট অফিসে আবেদনপত্র জমা দেওয়া।
সঠিকভাবে আবেদন ফরম পূরণ করে তাতে কাগজপত্র সংযুক্ত করা হয়ে গেলে এবার এটি জমা দিতে হবে। জমা দেওয়ার আগে নির্ধারিত ফি ব্যাংকে জমা দিয়ে তার রশিদ সংগ্রহ করতে হবে। আর এই রশিদটিও আবেদনপত্রের সাথে জমা দিতে হবে।
ধাপ-৪: কাগজপত্র ও ব্যবসায়ের বৈধতা যাচাই
এই ধাপের কাজগুলো আপনার বা কোনো আবেদনকারীর না। এগুলো যে অফিসে আবেদন করেছেন সেখানকার কর্মকর্তারা দেখবেন।
প্রথমে আপনার কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে দেখবে যে সবকিছু সঠিক আছে কিনা। এরপরে একজন কর্মকর্তা আপনার ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান সরেজমিনে পরিদর্শন করতে যাবেন। পরিদর্শন শেষে তিনি সকল কিছু বৈধতা পেলে এবং সন্তুষ্ট হলে তার প্রতিবেদন দাখিল করবেন।
ধাপ-৫: ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু ও নাকচ
এই ধাপে এসে উক্ত কর্মকর্তার দাখিল করা প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। আপনার সকল তথ্য সঠিক থাকলে ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু করা হবে এবং আপনাকে তা জানিয়ে দেওয়া হবে।
উপরের এই ৫টি ধাপের মাধ্যমে আপনি সহজেই নিজের নতুন অথবা পুরাতন ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের ট্রেড লাইসেন্স রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে পারেন।
ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন করার নিয়ম
প্রথমবার যখন কোনো ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু করা হয় তখন এটির মেয়াদ থাকে ১ বছর। এই এক বছর সময়ের পরেও ব্যবসায়টি পরিচালনা করতে চাইলে ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন করতে হয়। এটি কোনো রকেট সায়েন্স না, একদমই সহজ ও ঝামেলাবিহীন একটি প্রক্রিয়া।
ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন করার সময় এটির মেয়াদ সর্বোচ্চ ৫ বছর পর্যন্ত বাড়ানো যায়। আপনি চাইলে পরবর্তী ১ বছরের জন্য নবায়ন করতে পারেন, অথবা আগামী ৫ বছরের জন্য একবারে নবায়ন করতে পারেন। এটা একান্ত আপনার ইচ্ছা।
আরও জানুন: বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া
এবার আসুন ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন করা নিয়ম সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরে যত দ্রুত সম্ভব নবায়ন করা উত্তম।
তবে মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরেও আপনি এটি নবায়ন করার জন্য ৩ মাস পর্যন্ত সময় পাবেন। এই সময়ের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করতে ব্যর্থ হলে এর জন্য নির্ধারিত জরিমানা প্রদান করে আবার নবায়ন করতে পারবেন।
ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন করতে পুরনো লাইসেন্সটি সাথে নিয়ে সংশ্লিষ্ট অফিস যেখান থেকে আপনি এটির রেজিস্ট্রেশন করেছিলেন সেখান যেতে হবে।
এরপরে ওখানে দায়িত্বরত কর্মকর্তাকে বললে তারা সেটি নবায়ন করে নতুন ট্রেড লাইসেন্স প্রদান করবেন। খুবই সহজ প্রক্রিয়া। ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন ফি ও রেজিস্ট্রেশন ফি একই। তাই প্রতিষ্ঠানের ধরণভেদে এটি ভিন্ন হয়ে থাকে।
ট্রেড লাইসেন্স অনলাইন আবেদন করবেন যেভাবে
এখন ঘরে বসেই কিন্তু ট্রেড লাইসেন্স এর জন্য আবেদন করা যায়। আর এটিকে বলে e-Trade Liscence. তবে এই সুবিধাটি বর্তমানে শুধু ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ও উত্তর সিটি কর্পোরেশন এলাকার জন্য প্রযোজ্য।
এখনো সারাদেশে এই ডিজিটলা সেবাটি চালু হয়নি। তবে আশা করা যাচ্ছে খুব শীঘ্রই দেশব্যাপী চালু হয়ে যাবে।
ট্রেড লাইসেন্স অনলাইন আবেদন করার জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে https://www.etradelicense.gov.bd প্রবেশ করতে হবে।
এরপরে সেখানে নাম, মোবাইল নাম্বার ও অন্যান্য তথ্য দিয়ে একটি একাউন্ট রেজিস্ট্রার করতে হবে। এরপরে আপনি ই-ট্রেড লাইসেন্সের জন্য আবেদন জমা দিতে পারবেন।
ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করার নিয়ম
আপনি যদি ব্যবসায় পরিচালনা স্থগিত রাখতে চান তাহলে ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করতে পারেন। এক মালিকানা ব্যবসায়ের ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করা তেমন ঝামেলাপূর্ণ কাজ না।
মেয়াদ শেষে নবায়ন না করলে একমালিকানা ব্যবসায়ের ট্রেড লাইসেন্স বাতিল হয়ে যায়। তবে যে অফিস থেকে এটি রেজিস্ট্রেশন করেছিলেন সেখানে আবেদন করে বাতিল করা উত্তম কাজ।
অংশীদারি ব্যবসায়ের ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করার নিয়ম হলো প্রথমে কোর্ট থেকে ব্যবসায়টির অবসায়নের অনুমতি নিতে হয়। এরপর স্থানীয় সরকারের ট্রেড লাইসেন্স ইস্যুকারী বিভাগের নিকট আবেদন জমা দিতে হয়।
ইতি কথা ও প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন
আপনি বাংলাদেশ অথবা যেকোনো দেশে ব্যবসায় আরম্ভ করলে সে দেশের সরকার অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান থেকে ব্যবসায়ের নামে একটি ট্রেড লাইসেন্স রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
এটি ছাড়া ব্যবসায়টি অবৈধ ধরা হবে এবং নানান আইনি জটিলতায় পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এমনকি ব্যবসায়টি বন্ধ হয়ে যাবে এবং মালিককে জেল-জরিমানা দিতে হতে পারে।
নতুন ও পুরাতন সকল উদ্যোক্তাদের উদ্দেশ্যে পরামর্শ দিবো ট্রেড লাইসেন্স করার নিয়ম ২০২৪ জেনে ব্যবসায় শুরু করার প্রথম ধাপে এটি তৈরি করে নিন।
Trade License সম্পর্কে মানুষের অনেক প্রশ্ন ও জিজ্ঞাসা থাকে। নিচে এরকম কিছু বহুল জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন ও এর উত্তর জুড়ে দিয়েছি। আশা করছি আপনি উপকৃত হবেন।
১. ট্রেড লাইসেন্স করতে কত দিন লাগে?
উত্তর: একটি নতুন ট্রেড লাইসেন্স করতে আবেদনের দিন থেকে পরবর্তী ৩-৪ কার্যদিবস সময় লাগে। তবে ক্ষেত্রবিশেষে এই সময়সীমা কম-বেশি হতে পারে।
২. ট্রেড লাইসেন্স করতে কত টাকা লাগে?
উত্তর: একেক ধরনের ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের জন্য এই খরচ একেক রকম। ব্যবসায়ের ধরনভেদে ট্রেড লাইসেন্স করতে ৩০০ টাকা থেকে ১২০০০ টাকা লাগে।
৩. মুদি দোকানের ট্রেড লাইসেন্স ফি কত?
উত্তর: মুদি দোকানের ট্রেড লাইসেন্স ফি ৩০০ টাকা মাত্র।
৪. ট্রেড লাইসেন্স এর মেয়াদ কত দিন?
উত্তর: একটি নতুন ট্রেড লাইসেন্স এর মেয়াদ সাধারনত ১ বছর হয়ে থাকে।
৫. ট্রেড লাইসেন্স কোথায় করতে হয়?
উত্তর: ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা ও সিটি কর্পোরেশনের অফিসে ট্রেড লাইসেন্স আবেদন করতে হয়। এছাড়া এখন অনলাইনেও ট্রেড লাইসেন্স করা যায়।
৬. একটি ট্রেড লাইসেন্স দিয়ে কয়টি ব্যবসায় করা যায়?
উত্তর: ১টি ট্রেড লাইসেন্স দিয়ে শুধুমাত্র একটি ব্যবসায় পরিচালনা করতে পারবেন।
Very Informative. Go ahead