ভার্চুয়াল রিয়েলিটি কি তা সম্পর্কে অনেকেরই জানার আগ্রহ থাকে। আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির যত ধররনের আবিষ্কার রয়েছে তার মধ্যে Virtual Reality অন্যতম। আজকের ব্লগে আমরা এ বিষয়ে বিস্তারিত জানবো। তার আগে চলুন একটা উদাহরণ দেখা যাক।
রিয়াদ চাঁদে যেতে চায়, কিন্তু সুযোগ ও অর্থের অভাবে চাঁদে যেতে পারছে না। কিন্তু তার বন্ধু তাকে নতুন একটি প্রযুক্তি সম্পর্কে জানালো যেটা ব্যবহার করে সে চাঁদে অবস্থান না করেও চাঁদে অবস্থান করার অনুভূতি পেতে পারে।
রিয়াদের বন্ধুর কথামতো রিয়াদ একটি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের কাছে গেল এবং প্রতিষ্ঠানটি তাকে বেশ কিছু সরঞ্জাম দিলো। যেমন হাতমোজা, চশমা, হেডফোন স্যুট ইত্যাদি। সে এসব পরিধান করে একটি কক্ষে প্রবেশ করলো এবং অন্যান্য আরও কিছু প্রযুক্তির সমন্বয়ে চাঁদের মাটিতে অবতরনের অনুভূতি পেল। এতে রিয়াদ ভীষণ খুশি।
এখানের উদাহরণে রিয়াদ যে প্রযুক্তি ব্যবহার করেছে তা হলো ভার্চুয়াল রিয়েলিটি বা সংক্ষেপে VR। এবার আসুন এটি সম্পর্কে জানি।
ভার্চুয়াল রিয়েলিটি কি? (What is Virtual Reality?)
Virtual অর্থ অপ্রকৃত বা প্রকৃত নয় এমন, Reality অর্থ বাস্তবতা। আর Virtual Reality অর্থ অপ্রাকৃতিক বাস্তবতা। বাস্তব নয়, তবে বাস্তবের মতো পরিবেশ ও অনুভূতি সৃষ্টি করতে পারার প্রযুক্তিকে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি বলে। এটাকে সংক্ষেপে VR বলা হয়।
এক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রযুক্তি ও কম্পিউটার প্রোগ্রামের মাধ্যমে কোনো কিছুর অবিকল ত্রিমাত্রিক বা 3D অ্যানিমেশন তৈরি করা হয়। এছাড়াও এতে যে শব্দ ব্যবহার করা হয় তা অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে তৈরি ও পরিবেশন করা হয়।
উপরের উদাহরণে জেনেছি, রিয়াদ চাঁদে না গিয়েও চাঁদে অবতারণের অনুভূতি পেয়েছে। চাঁদের পরিবেশ কেমন তা সম্পর্কে সে জানতে পেরেছে। সে বাস্তবে চাঁদে যায়নি। কিন্তু প্রযুক্তি সাহায্যে পুরো ব্যাপারটি বাস্তবে রূপ দেওয়া সম্ভব হয়েছে। যাকে আমরা বলছি অপ্রাকৃতিক বাস্তবতা বা Virtual Reality.
ভার্চুয়াল রিয়েলিটির ইতিহাস
পৃথিবীর বেশিরভাগ দেশেই এখনও এই প্রযুক্তিটির ব্যবহার শুরু হয়নি। এমনকি বাংলাদেশেও ব্যক্তির পর্যায়ে ভার্চুয়াল রিয়েলিটির ব্যবহার লক্ষ্য করা যায় না। সরকারি কিছু সংস্থা যেমন মিলিটারি, ড্রাইভিং, পাইলটিং ইত্যাদি ক্ষেত্রেই কেবল এটি ব্যবহৃত হচ্ছে।
অনেকের কাছেই ভার্চুয়াল রিয়েলিটি প্রযুক্তিটি নতুন। তবে এর গোড়াপত্তন হয়েছিল বহু আগেই। ব্লগের এই অংশে আমরা ভার্চুয়াল রিয়েলিটি আবিষ্কারের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস সম্পর্কে জানবো।
যুক্তরাষ্ট্রের কম্পিউটার বিজ্ঞানী জেরন ল্যানিয়ার সর্বপ্রথম “Virtual Reality” শব্দটি ব্যবহার করেন। ১৯৮০ এর দশকে তিনি ভার্চুয়াল রিয়েলিটি সম্পর্কে গবেষণা করছিলেন এবং এর জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান যেমন গগলস ও গ্লভস তৈরির কাজ করেন।
তবে এর পূর্বে ১৯৬১ সালে মার্কিন বিজ্ঞানী থমাস ফারনেস যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনীর জন্য একটি ফ্লাইট সিমুলেটর তৈরি করেন যেটি ছিল বিশ্বের প্রথম সিমুলেশন প্রযুক্তি। এর ঠিক কয়েক বছর পরে হেড মাউন্টেড ডিসপ্লে আবিষ্কার করেন ১৯৬৮ সালে।
ধীরে ধীরে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি প্রযুক্তি জনপ্রিয় হতে শুরু করে এবং বিভিন্ন সংস্থা তাদের কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য এটি ব্যবহার করতে থাকে। ২০০৭ সালে গুগল স্ট্রিট ভিউ নামে তাদের ভিআর প্রযুক্তি আনে যেটি বর্তমানে গুগল ম্যাপে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
ভার্চুয়াল রিয়েলিটির উপাদানগুলো কি কি?
এতক্ষনে এর বিভিন্ন বেসিক ও খুঁটিনাটি তথ্য জেনেছি। ভার্চুয়াল রিয়েলিটি কি তা আরো ভালোভাবে বুঝতে এতে ব্যবহৃত উপাদানগুলো সম্পর্কে জানতে হবে।
এবার আসুন জানবো ভার্চুয়াল রিয়েলিটিতে কি কি সরঞ্জাম ও উপাদান ব্যবহৃত হয়। আগেই বলেছি কৃত্রিম বাস্তব পরিবেশ তৈরি করতে অনেকগুলো ডিভাইসের প্রয়োজন পড়ে।
এই প্রযুক্তি দুই ধরণের উপাদানের সমন্বয়ে কাজ করে। একটি হলো হার্ডওয়্যার ও অন্যটি হলো সফটওয়্যার। প্রথমে জানবো কী ধরনের সফটওয়্যার প্রয়োজন হয়।
১. ভিআর সফটয়্যার
ভার্চুয়াল রিয়েলিটির উপাদানসমূহের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো এর Software. কৃত্রিম পরিবেশ তৈরিতে ত্রিমাত্রিক দৃশ্য বা 3D Graphics ব্যবহার করা হয়। এগুলো বিভিন্ন সফটওয়্যার যেমন Unreal Engine, Autodesk 3D Max, Maya, IRIS VR ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়।
এছাড়াও বহুমাত্রিক সাউন্ড (3D, 5D, 8D) তৈরিতেও এসব সফটওয়্যারের প্রয়োজন। অডিও, ভিডিও প্রস্তুত হয়ে গেলে সেগুলো ইমপ্লিমেন্ট করতে হয় খুব সুক্ষ্মভাবে যাতে বাস্তবের ন্যায় অভিজ্ঞতা হয় ও বাস্ত অনুভূতি পাওয়া যায়।
এই ইমপ্লিমেন্টেশনের কাজ করা হয় বড় বড় সফটওয়্যার ব্যবহার করে। মূলত ভার্চুয়াল রিয়েলিটির বিভিন্ন উপাদানসমূহ সেটাপ ও তাদের মধ্যে সমন্বয়ের কাজ করতে ভালো কনফিগারেশনের কম্পিউটার প্রয়োজন।
২. হেড মাউন্টেড ডিসপ্লে
Head Mounted Display বা সংক্ষেপে HMD হলো একধনের হেলমেট বা চশমা। এটার সাহায্যে ত্রিমাত্রিক দৃশ্য দেখানো হয়। এটি পরলে ব্যবহারকারী বাইরের দৃশ্য দেখতে পান না। এর ডিসপ্লেতে যা দেখানো হয় শুধু সেটাই দেখতে পান।
বাজারে বিভিন্ন কোম্পানির বিভিন্ন দামের হেড মাউন্টেড ডিসপ্লে (ভিআর হেডসেট) কিনতে পাওয়া যায়। এগুলোর সাথে আগে থেকেই ইয়ারফোন বা হেডফোন যুক্ত করা থাকে যার মাধ্যমে ব্যবহারকারী ত্রিমাত্রিক শব্দ শুনতে পায়।
খুব জনপ্রিয় কয়েকটি ভিআর হেডসেট হলো HP Reverb G2, HTC Vive 2 Pro, Meta Quest 2, Meta Quest Pro ইত্যাদি। বাংলাদেশের বাজারে এসব ডিভাইস খুব একটা পাওয়া যায় না।
৩. হ্যান্ড গ্লভস
এটি বিশেষ একধরনের হাতমোজা। হ্যান্ড গ্লভসে অনেকগুলো মোশন সেন্সর লাগানো থাকে যার মাধ্যমে ব্যবহারকারী বাস্তব অনুভূতি পেতে পারে। ত্রিমাত্রিক দৃশ্যে কোনো বস্তু দেখার পরে তা স্পর্শ করতে চাইলে এই হ্যান্ড গ্লভসে থাকা সেন্সর সেটি স্পর্শ করার অনুভূতি সৃষ্টি করে।
এই ডিভাইসটি মূলত ব্যক্তির হাতের সাথে কম্পিউটার প্রোগ্রামের যোগাযোগ স্থাপন করে। আবার কম্পিউটার প্রোগ্রাম থেকে বিভিন্ন সিগন্যাল এর মাধ্যমে ব্যক্তির হাতে পৌছায়। এতে সে বুঝতে পারে আসলেই কোনো কিছু স্পর্শ করছে।
৪. বডি স্যুট
ভার্চুয়াল রিয়েলিটির আরেকটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো Body Suite. এতেও অসংখ্য মোশন সেন্সর লাগানো থাকে। ব্যক্তির নড়াচড়া, শ্বাসপ্রশ্বাস ইত্যাদির তথ্য কম্পিউটার প্রোগ্রামে পাঠানো এর কাজ।
এই বডি স্যুট ব্যতিত ভার্চুয়াল রিয়েলিটি বা কৃত্রিম বাস্তবতার সম্পূর্ণ অভিজ্ঞতা পাওয়া সম্ভব নয়। এই ডিভাইসটির কারণেই ত্রিমাত্রিক দৃশ্যে দেখানো বস্তু, পরিবেশ আমাদের কাছে অনেক বেশি বাস্তব মনে হয়।
বডি স্যুটের সাথে একধরনের বিশেষ জুতা বা বুট সরবরাহ করা হয়। এসকল ডিভাইসেই Motion Sensor যুক্ত করা থাকে। এগুলো ব্যবহারকারীর প্রতিক্রিয়া গ্রহণ করে কম্পিউটারে পাঠায় এবং কম্পিউটার সে অনুযায়ী পরবর্তী দৃশ্য প্রদর্শন সহ সংশ্লিষ্ট কাজ করে।
আরও পড়ুনঃ যেসব এআই বাড়াবে আপনার প্রোডাক্টিভিটি
প্রাত্যহিক জীবনে ভার্চুয়াল রিয়েলিটির প্রভাব
ধীরে ধীরে সারা বিশ্বে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। বাংলাদেশে এর তেমন একটা উল্লেখযোগ্য ব্যবহার লক্ষ্য করা না গেলেও ধীরে ধীরে এর ব্যবহার প্রসারিত হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানা, জাপান, চীন, জার্মানের মতো প্রথম বিশ্বের দেশগুলো ইতোমধ্যে এর ব্যাপক ব্যবহার শুরু হয়ে গেছে।
নিচের অংশে জানবো কোন কোন ক্ষেত্রে Virtual Reality প্রযুক্তি ব্যবহৃত হচ্ছে। এর বাইরেও আরও অনেক ক্ষেত্র রয়েছে তবে এখানে আমরা গুটিকয়েক ক্ষেত্র নিয়ে আলোচনা করবো।
১. ড্রাইভিং প্রশিক্ষণঃ প্রাত্যহিক জীবনে ভার্চুয়াল রিয়েলিটির অন্যতম ব্যবহার হয়ে থাকে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণে। বিশেষ করে বিমান, জাহাজের মতো ঝুকিপূর্ণ ও গুরুত্বপূর্ণ বাহন চালানোর প্রশিক্ষণ দিতে এটি ব্যবহার করা হয়।
এতে করে পাইলট ও নাবিকরা বাস্তবে আকাশপথে বা সমুদ্রপথে যাত্রার পূর্বে সেখানকার পরিবেশ সম্পর্কে কৃত্রিম বাস্তব অভিজ্ঞতা নিতে পারে। আর ফলে এসব প্রশিক্ষণ অনেক বেশি কার্যকর হয়, চালকরা আরো বেশি দক্ষ ও অভিজ্ঞ হয়ে ওঠে।
এছাড়াও মোটরযান চালনায়ও এর ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। যেমন বাস, ট্রাক, মোটবাইক, মাইক্রো ইত্যাদি।
২. সামরিক প্রশিক্ষণঃ ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ব্যবহারের আরেকটি বড় ক্ষেত্র হচ্ছে সামরিক প্রশিক্ষণ। সৈনিকরা বাস্তবে যুদ্ধে অংশগ্রহণের পূর্বে এর মাধ্যমে প্রশিক্ষণ পেয়ে থাকে। আমাদের দেশেও সামরিক বাহিনীতে এই প্রশিক্ষণ পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।
বাস্তবে লোকবল ব্যবহার করে যুদ্ধক্ষেত্র তৈরি করে সৈনিকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া অনেক ঝুকিপূর্ণ ও ঝামেলাপূর্ণ কাজ। এর সমাধান করতেই VR ব্যবহার করা হয়। এতে করে অল্প খরচে ও মানুষের জীবন ঝুকির মধ্যে না ফেলে সহজেই কৃত্রিম যুদ্ধক্ষেত্র তৈরি করা সম্ভব হয়।
এভাবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সৈনিকরা আসল যুদ্ধে যাওয়ার পূর্বে বুঝতে পারে যুদ্ধক্ষেত্রের পরিবেশ কেমন হয়, কোন পরিস্থিতিতে কীধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। ফলে তারা অনেক দক্ষ ও অভিজ্ঞ হয়ে ওঠে।
৩. বিনোদনঃ বাস্তব জীবনে VR প্রযুক্তি ব্যবহারের আরেকটি বৃহত্তর ক্ষেত্র হচ্ছে বিনোদন। এর মধ্যে রয়েছে সিনেমা, ভিডিও গেম ইত্যাদি।
ভিডিও গেমের ক্ষেত্রে এটি খুব বেশি জনপ্রিয়। এখন অনেকেই প্লে-স্টেশনের সাথে একটি ভিআর হেডসেটও ক্রয় করে ভিডিও গেম খেলার জন্য। যেকোনো ভিডিও গেমে ভিআর ব্যবহার করা যায় না। ভিআর দিয়ে খেলার জন্য বিশেষ ধরণের গেম ডেভেলপ করা হয় যেগুলো ত্রিমাত্রিক। এরকম কয়েকটি গেম হলো Space Pirate Trainer, Beat Sabar, Resident Evil 4, Resident Evil Village ইত্যাদি।
এছাড়া সিনেমার ক্ষেত্রেও ভিআর প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। আজকাল কিছু অ্যানিমেটেড সিনেমা তৈরি করা হচ্ছে যেগুলো 3D Image Technology ব্যবহার করে। ফলে ভার্চুয়াল রিয়েলিটির মাধ্যমে এগুলো উপভোগ করা যায়।
আবার পৃথিবীর অনেক দর্শনীয় স্থান, জাদুঘর আছে যেসব জায়গায় ভ্রমণ করা অনেক বেহসি ব্যয়বহুল। ফলে অনেকেই এসব স্থানে যেতে পারে না। এসব প্রতিবন্ধকতা দূর করা যায় VR Technology ব্যবহার করে। এর একটা উদাহরণ প্রথমেই দিয়েছি।
৪. চিকিৎসা ক্ষেত্রেঃ নবীন ও শল্য চিকিৎসকদের কর্মক্ষেত্রে প্রবেশের পূর্বে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ব্যবহার করা হয়। ফলে তারা কৃত্রিমভাবে সৃষ্ট পরিবেশে রোগীর রোগ নির্ণয়, অস্ত্রপাচার সহ বিভিন্ন কাজ শিখতে পারে।
এছাড়াও প্রাত্যহিক জীবনে ভার্চুয়াল রিয়েলিটির আরো অনেক প্রভাব রয়েছে। খুব অদূর ভবিষ্যতেই আমরা মেটাভার্সের দুনিয়ায় প্রবেশ করতে যাচ্ছি। যেটা ভার্চুয়াল রিয়েলিটির সবচেয়ে বড় বিপ্লবের সাক্ষী হবে।
এখানে আমরা ঘরে বসেও বন্ধুদের সাথে বাইরে বসে আড্ডা দেওয়া, শপিং করা, খেলাধুলা করার অভিজ্ঞতা ও অনুভূতি পেতে পারবো। এছাড়াও অনেক ইকমার্স সাইটে ভিআর প্রযুক্তি ব্যবহারের পরিকল্পনা চলছে। ফলে কোনো পণ্য কেনার পূর্বে আমরা সেটা হাতে নেওয়ার অনুভূতি পাবো, গুণগন মান যাচাই-বাছাই করতে পারবো।
ভার্চুয়াল রিয়েলিটির জনক কে?
জেরন ল্যানিয়ারকে (Jaron Zepel Lanier) ভার্চুয়াল রিয়েলিটির জনক বিবেচনা করা হয়। যদিও এই প্রযুক্তিটি কোনো একক ব্যক্তির মাধ্যমে আজকের অবস্থানে আসেনি। কয়েকজন বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলীর হাত ধরে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
তবে এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি অবদান যিনি রেখেছেন তিনি হচ্ছে জেরন ল্যানিয়ার। তাই তাকেই এর জনক হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
ইতিকথা
আজকের ব্লগের আলোচ্য বিষয় ছিল ভার্চুয়াল রিয়েলিটি কি। আশা করবো এই সংক্ষিপ্ত আলোচনার মাধ্যমে আপনাদের জানার আগ্রহকে কিছুটা হলেও পূরণ করতে পেরেছি। এই লেখাটি পরবর্তীতে আপডেট করা হবে। এবং এখানে ভার্চুয়াল রিয়েলিটির প্রকারভেদ, সুবিধা, অসুবিধা ইত্যাদি সম্বন্ধে আরো জানানো হবে।
ভার্চুয়াল রিয়েলিটি সম্পর্কে আপনাদের বিশেষ কোনো প্রশ্ন থাকলে তা কমেন্ট করা জানাতে পারেন। প্রশ্নের উত্তর আমাদের জানা থাকলে তা রিপ্লাই দিবো। আজকের লেখাটি এ পর্যন্তই। আপনার দিনটি শুভ হোক।